শিক্ষক নিবন্ধন

শিক্ষক নিবন্ধন বা এনটিআরসিএ কী? কীভাবে নিবন্ধন প্রস্তুতি নিবেন ?

শিক্ষক নিবন্ধন বা এনটিআরসিএ কী? কীভাবে নিবন্ধন প্রস্তুতি নিবেন ?

 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ । কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । আজকে আমরা আলোচনা করবো শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে । আজকের পোষ্টটি যদি আপনি ভালো ভাবে পড়েন তবে আশা করি আপনার মনে শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।

শিক্ষক নিবন্ধন বা এনটিআরসিএ কী?

 

এনটিআরসিএ হল একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা । যা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে 2005 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যেটি মানসম্মত এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার আদেশ দিয়ে ।  বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা যেতে পারে এবং তাদের শিক্ষাগত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য  শিক্ষার মান।

 

এনটিআরসিএ দ্বারা প্রতি বছর নিবন্ধন পরীক্ষা একটি স্বচ্ছ উপায়ে পরিচালিত হয় যাতে প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী প্রার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের পুলে প্রবেশ করতে পারে।

 

প্রয়োজনীয় একাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কার্যকরভাবে শেখানোর জন্য একজন ভালো শিক্ষকের আধুনিক শিক্ষণ দক্ষতার প্রয়োজন।  সঠিক প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে একজন শিক্ষক শ্রেষ্ঠত্ব শেখেন।

 

নৈতিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, আইটি জ্ঞান এবং বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি সহ সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ শিক্ষক ভাল জাতি গঠনে সহায়তা করতে পারে।

 

সম্প্রতি এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদধারী আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে সকল শূন্য পদের জন্য শিক্ষক নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজে আশা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেড়েছে যে, এখন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।  এনটিআরসিএ জাতির আশা-আকাঙ্খা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

নিবন্ধন করবেন যেভাবে

 

আপনি শিক্ষক হতে চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন জরুরি ৷ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে না লাগলেও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হলে এটি লাগবেই বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন।

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন

আপনার যতই দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকুক না কেনো, শিক্ষক নিবন্ধনে পাশ না করলে সবই বৃথা ৷ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন আইন ২০০৫ অনুসারে, শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে হলে আগে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

 

এ আইন অনুসারে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে নিবন্ধিত ও প্রত্যায়িত না হলে কেউ কোনো বেসরকারি স্কুল বা কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে পারবেন না।

 

স্কুল বা কলেজে শিক্ষক হওয়ার জন্য আলাদা আলাদাভাবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় অর্থাৎ উভয় পদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ জন্য প্রশ্নপত্র থেকে শুরু করে সিলেবাস, সবকিছুই আলাদা।

 

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন করার যোগ্যতা কী?

 

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক হতে হবে। আপনাকে মাস্টার্স পাশ করতে হবে ৷

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদনের যোগ্যতা
শিক্ষক নিবন্ধন আবেদনের যোগ্যতা

তবে এ ক্ষেত্রে কারও অধিকতর যোগ্যতা থাকলেও আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। কিন্তু পরীক্ষায় অবতীর্ণ কোনো প্রার্থীর আবেদন এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।

 

তবে সদ্য পাস করা প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, টেব্যুলেশন শিট, মার্কশিট, প্রবেশপত্রসহ আবেদন করতে পারবেন।

 

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের জন্য প্রার্থীর সমগ্র শিক্ষাজীবনে যেকোনো একটিমাত্র তৃতীয় বিভাগ বা এর সমমনা জিপিএর ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে।

 

এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাজীবনে তৃতীয় বিভাগ বা এর সমমনা জিপিএ একবারের বেশি হলে প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। ছাত্র গড়তে হলে আগে শিক্ষককে ভালো হতে হবে ৷ মেধা ও মননে ৷

 

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি কী?

 

স্কুল ও কলেজ উভয় ক্ষেত্রেই বাংলা, ইংরেজি, গণিত এই তিনটি বিষয়ের পাশাপাশি একটি ঐচ্ছিক বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

নিবন্ধন পরিক্ষা পদ্ধতি

আবশ্যিক বিষয়গুলোর ওপর নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় ক্ষেত্রেই পরীক্ষার মোট নম্বর ২০০। এ ক্ষেত্রে ১০০ আবশ্যিক এবং ১০০ ঐচ্ছিক। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।

 

আবশ্যিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে। এ ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর করতে হয় ১০০টি প্রশ্নের। প্রতিটি সঠিক উত্তরের মান এক নম্বর। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে কাটা যাবে শূন্য দশমিক ৫ নম্বর।

 

প্রতিটি বিষয় থেকে মোট প্রশ্ন থাকে ২৫টি। তবে ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা হয় লিখিত। এ ক্ষেত্রে তিন ঘণ্টায় উত্তর করতে হয় ১০০ নম্বরের। লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত পাঁচটি রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর করতে হয়, প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকে ১৫ নম্বর।

 

এ ছাড়া পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে পাঁচটি, প্রতিটির মান ৫ নম্বর। প্রতিটি প্রশ্নের একটি করে বিকল্প প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষার হলে বিষয় কোড, সেট নম্বর ও রোল নম্বর আবশ্যিক বিষয়ের ওএমআর উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের উত্তরপত্রে ওএমআরের প্রথম অংশের নির্ধারিত স্থানে লিখতে হবে ও বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

 

শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন করবো কীভাবে?

 

অনলাইনে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হয়। এ জন্য ntrca.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় গিয়ে যথাযথভাবে ফরম পূরণ করে নিবন্ধন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সমপন্ন হলে পরীক্ষার্থীকে একটি নম্বর দেওয়া হয়।

শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষা প্রস্তুতি

এই নম্বর দিয়ে যেকোনো টেলিটক মোবাইল থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ৩৫০ টাকা প্রদান করতে হয়। আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা জমা দিতে হয়, অন্যথায় আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য করা হয়।

 

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার পর প্রার্থীকে ইনভয়েস নম্বর এবং পাসওয়ার্ডের সিরিয়াল নম্বর ফিরতি এসএমএসয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই পাসওয়ার্ড ও ইনভয়েস নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হয়।

 

অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্টেড কপি সংরক্ষণ করতে হয় এবং এসএমএসয়ের মাধ্যমে পাওয়া সিরিয়াল নম্বরটি প্রিন্ট কপির নির্দিষ্ট স্থানে উল্লেখ করতে হয়।

 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা লাগবে

 

আবেদনপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর ও নীল ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি স্ক্যান করে আবেদনপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে সংযুক্ত করতে হয়।

 

আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপির সঙ্গে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রশিক্ষণ সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নাগরিকত্বের সনদ ইত্যাদি প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে সংযুক্ত করে ডাকবাক্সের মাধ্যমে পাঠাতে হয়।

 

এ জন্য ‘স্কুল শিক্ষক নিবন্ধন’ পরীক্ষার্থীদের হলুদ খামে এবং ‘কলেজ শিক্ষক নিবন্ধন’ পরীক্ষার্থীদের খাকি খামে করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ, নায়েম ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন (ষষ্ঠ তলা), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫ এই ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠাতে হবে।

 

খামের ওপর অবশ্যই কততম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র, পদের নাম এবং বিষয়ের নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।

 

শিক্ষক নিবন্ধন  ফলাফল প্রকাশ

 

ফল প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সনদপত্র পাঠানো হয় স্থায়ী ঠিকানার জেলা শিক্ষা অফিসে। এর আগে ওয়েবসাইটে দেওয়া ফলাফল সাময়িক প্রত্যয়নপত্র হিসেবে ধরা হয়।

 

শিক্ষক হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। এই মানুষ গড়ার কারিগর যত বেশি যোগ্য হবেন, সুদক্ষ হবেন, ততবেশি যোগ্য নাগরিক পাবো আমরা। তাই তো জীবনের সব পরীক্ষায় অতি উত্তম ফলাফল অর্জনের পাশাপাশি একজন শিক্ষককে চলায়, বলায়, সাজে, পোশাকে, চিন্তায়, চেতনায়, জ্ঞানে, দক্ষতায়, মেধায়, নীতিতে, আদর্শে, দেশপ্রেমে, জাতীয়তাবোধে, আধুনিকতায় হতে হয় উত্তম।

 

এসব বিবেচনায় যার উত্তম হওয়ার ইচ্ছা আছে, যোগ্যতা আছে, শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে নেওয়ার মানসিকতা আছে, তাকে বাছাই করার কাজটি আসলেই কঠিন। আমাদের দেশে শিক্ষক বাছাইয়ের প্রচলিত প্রক্রিয়া কতটা মানসম্মত তা ভেবে দেখা উচিত।

 

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারির মোট নম্বর ১০০, এর মধ্যে ৪০ শতাংশ পেলে পাশ যদিও আসলেই ৪০ মার্কস পেলে পাস করায় কি-না; এটা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

 

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনাকে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। লিখিত পাস করলে আপনকে ভাইভার জন্য ডাকা হবে। ভাইভায় পাস করলে জাতীয় মেধায় আপনার পজিশন ও পরবর্তীতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

 

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি

 

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে কয়েকটি বিষয়ের উপর। বিষয়গুলো হচ্ছে বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। মোট ১০০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ দুটি উত্তর ভুল হলেই প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১ নম্বর কাটা যাবে।

 

আপনাকে প্রতিটি বিষয়ের জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে ভালভাবে। কারণ আপনাকে কয়েক লাখ প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে আর একটি চাকরির সাথে আপনার জীবন ও ভবিষ্যৎ জড়িত। এখানে একটি মার্কও আপনার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ৷

 

কী কী পড়বেন ও কীভাবে পড়বেন?

 

বাংলা

 

প্রথমেই বাংলা নিয়ে বলছি। বাংলা অংশে ব্যাকরণের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড প্রণীত ব্যাকরণ বইয়ের সব অধ্যায় উদাহরণসহ ভালোভাবে পড়তে হবে।

 

জানতে হবে কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী সম্পর্কে। এসএসসি বোর্ড বইয়ের লেখক পরিচিতি বা সাহিত্যিক পরিচিতি অংশ পড়লে অনেকটা সহায়ক হবে। ব্যাকরণ থেকে ভাষা, বর্ণ,

 

শব্দ, সন্ধি বিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, উপসর্গ, অনুসর্গ, ধাতু, সমাস, বানান শুদ্ধি, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন আসে।

 

সাহিত্য অংশ থেকেও অনেক প্রশ্ন আসে। সাহিত্য অংশে গল্প বা উপন্যাসের রচয়িতা, কবিতার লাইন উল্লেখ করে কবির নাম থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। ছদ্মনাম, পত্রিকার নাম, সম্পাদকের নাম পড়তে হবে।

 

এই সবগুলো বিষয় যে কোনো গাইডে গুছিয়ে দেওয়া আছে। সেখান থেকে পড়তে পারেন। পড়তে হবে আপনাকে ৷ জানতে হবে ৷

 

ইংরেজি

 

ইংরেজি অংশে অনেকেই দুর্বল থাকে। তবে এটা কঠিন কিছু না। একটু মনযোগী হলেই ইংরেজীতে ভালো মার্ক তোলা যায় ৷ দরকার একটু কেয়ারফুলের ৷

 

ইংরেজি গ্রামারের Right forms of verb, Tense, Preposition, Parts of Speech, Voice, Narration, Spelling, Sentence Correction- থেকে প্রশ্ন আসে। যে কোনো গ্রামার বই থেকে গ্রামারের এই টপিকসগুলো উদাহরণসহ পড়ুন।

 

মুখস্থ করতে হবে Phrase and Idoims, Vocabulary, Synonym, Antonym। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ ও বাংলা থেকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন ও পড়তে হবে। বিগত সালের বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে পারেন।

 

গণিত

 

গণিত অংশে মার্কস পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। আপনি গণিত দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন ৷ প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা গণিত প্রাকটিস করা দরকার। পাটিগণিতের পরিমাপ ও একক, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ থেকে প্রশ্ন আসে।

 

বীজগণিতের সাধারণ সূত্রাবলী থেকে প্রশ্ন থাকে। মুখে মুখে ও সূত্র প্রয়োগ করে সংক্ষেপে ফল বের করার প্র্যাকটিস করতে হবে। যাতে প্রশ্ন দেখামাত্রই সূত্র প্রয়োগ করে ফল বের করা যায়।

জ্যামিতির জন্য ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, বৃত্ত ইত্যাদির সাধারণ সূত্র ও সূত্রের প্রয়োগ প্রাকটিস করবেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যবই যেমন অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই অনুসরণ করলে ভালো হবে।

 

সাধারণ জ্ঞান

 

বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিভিন্ন সম্পদ, জাতীয় দিবস থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।

 

আর আন্তর্জাতিক অংশে বিভিন্ন সংস্থা, দেশ, মুদ্রা, রাজধানী, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, খেলাধুলা থেকে প্রশ্ন থাকে। সাম্প্রতিক বিষয়ের জন্য মাসিক কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স অবশ্যই পড়বেন।

 

কম্পিউটার ও আইসিটি থেকেও প্রশ্ন থাকে। আপনি কম্পিউটার ও আইসিটির বেসিক বিষয়গুলো ভালভাবে মনে রাখার চেষ্টা করুন।

 

বিজ্ঞান, আইসিটি ও কম্পিউটারের জন্য ২০১৫-২০২১ সালের বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ভালভাবে পড়লে বেশ কিছু কমন পেতে পারেন।

 

এভাবে পড়লে আশা করি, আপনি সরকারি যে কোনো চাকরির প্রিলিতে ভালো নম্বর পেয়ে প্রিলিমিনারি পাস করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে যিনি আরো ভালো জানেন তার কাছ থেকে বা নিজের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন।

 

তবে যেভাবেই নেন না কেন আপনাকে পড়তে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করুন। পারলে আরো বেশি সময় দিন।

 

শেষকথাঃ

 

তো এই ছিল আজকের আলোচনা । আপনি যদি পুরো লেখা ভালোভাবে পড়ে থাকেন আশা করি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে অনেক কিছুই জেনেছেন । শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা চেষ্টা করবো যথাসাধ্য হেল্প করার ।

 

 

শিক্ষা বিষয়ক যে কোন তথ্য জানতে এবং জানাতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন  

 

ফেসবুক গ্রুপ