চোখের যত্নে করনীয়
চোখের যত্নে করনীয়
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনাদেরকে আবারো আমাদের সাইটে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক স্বাগতম জানাই। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে চোখের যত্নে করণীয় বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করা যাক।
সূচিপত্র
চোখের যত্ন কেন নিবেন?
চোখ সকল জন্যই প্রাণীর একটি অমূল্য সম্পদ। চোখের দ্বারাই আমরা এই সুন্দর পৃথিবীর সকল কিছুকে দেখতে। চোখ না থাকলে আমরা এই সুন্দর পৃথিবীর কিছুই দেখতে পেতাম না। কিন্তু অনেকেই চোখের যত্ন নেয় না। যার ফলে একসময় তারা চোখে কম দেখে। ব্যবহার করতে হয় চশমা। অনেকে তো আবার চোখের ঠিকমত যত্ন না নেওয়ায় অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যায়। আর একজন অন্ধ ব্যক্তিই জানে চোখের ঠিক কতটা মূল্য রয়েছে। আমাদের যাদের চোখ ঠিক আছে তাদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা, যে তিনি আমাদের এত সুন্দর একটি নেয়ামত দান করেছে। তাই আমাদের সকলের উচিত চোখের যত্ন নেওয়া। তো চলুন আমরা চোখের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি উপায় নিচে আলোচনা করি।
চোখের যত্নে করণীয়ঃ
বিভিন্নভাবে চোখের যত্ন নেওয়া যায়, নিচে তার মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আলোচনা করা হলোঃ
১) নিয়মিত ডাক্তার দেখানোঃ যদি আপনার মনে হয় যে আপনি চোখে কিছুটা কম দেখছেন বা চোখে কোনো সমস্যা হচ্ছে তাহলে দ্রুত আপনার চোখের ডাক্তার দেখানল উচিত। এই বিষয় কিন্তু কোনো ভালো লক্ষণ না। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া একদম বোকামি।
২) খাবার খাওয়াঃ খাবার তো সকলেই খায়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে খাবারের তালিকা একটু বদলে দিয়েও আপনি চোখের যত্ন নিতে পারবেন। এর জন্য বেশি কিছু না, আপনাকে খাবারের তালিকায় বেশি করে মাছ রাখতে হবে বিশেষ করে ছোট মাছ। এগুলো চোখের জ্যোতি ঠিক রাখে এবং যাদের চোখের জ্যোতি কম তাদের চোখের জ্যোতি বাড়ায়। বড় বড় Eye Specialist (চোখের বিশেষজ্ঞ) দের কাছে গেলেও তারা আপনাকে এই পরামর্শ দিবে।
৩) চোখ জ্বালা করলে ডলবেন নাঃ কখনো যদি চোখে কিছু যায় বা পড়ে তো আমরা কি করি, চোখ ডলি? এটা একদম ঠিক না। এটা করা একদম উচিত নয়। এসময় আপনি চাইলে একটি কাপড় বা গামছা তে ফু্ঁ দিয়ে সেটা চোখে নিতে পারেন। বা দুই হাতের তালু ঘষে সেটা চোখে দিতে পারেন। এতে চোখের জ্বালা পোড়া কমে যাবে
৪) সূর্যের আলোঃ সূর্যের আলোর মাধ্যমে আপনারা চোখের ফ্রি চিকিৎসা নিতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে সকালের মিষ্টি সূর্যের রোদে ও দুপূর-বিকাল এর সময়ের সূর্যের আলোতে গিয়ে দাড়াতে হবে। এবং পাড়লে কিছু সময় সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। তবে প্রখর রোদে এটা করা একদম ঠিক না।
৫) ঝাপসা দেখাঃ অনেকেই মাঝে মাঝে চোখে ঝাপসা দেখেন, বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে। এসময় অনেকে চোখ ডলে থাকেন। এটা ঠিক না আগেও বলেছি। এসময় আপনারা চোখে পানি দিতে পারেন।
৬) বাতাসঃ আদ্রতাহীন বাতাস থেকে নিজের চোখকে দূরে রাখায় শ্রেয়। আদ্রতাহীন বলতে এয়ারকন্ডিশ এবং হিটার কে বলা হয়েছে। মূল কথা কৃত্রিম বাতাস।
৭) আঘাত ও ধূলোবালিঃ আঘাত ও ধুলোবালি থেকে যত পারেন চোখকে দূরে রাখবেন। তাও যদি চোখে আঘাত লাগে বা ধুলোবালি যায় তাহলে এই লিস্টের ৩ নং রুলস টা ফলো করতে পারেন।
৮) ডিভাইসঃ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মোবাইলের আলো বা ব্রাইটনেস যতটা পারেন কমিয়ে রাখবেন।
৯) ধূমপানঃ ধূমপান চোখের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকরা। এটা থেকে যত পারুন দূরে থাকুন।
১০) শাক খানঃ শাকে থাকে সকল প্রকার ভিটামিন। তাই যত পারেন শাক খাবেন। যেমনঃ পালং শাক, লাউ শাক, ডাটার শাক ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ভাবে চোখের যত্ন নেওয়া যায় যেমন চোখের মেকআপ করা পরিহার করা, কাজের ফাকে বিরতি নেওয়া ইত্যাদি।
চোখের যত্নে পানি
চোখের যত্নে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। চোখের যেকোনো সমস্যায় চোখে পানি দিবেন। যখন চোখে বেশি জ্বালা পোড়া করবে তখন চোখে পানি দিবেন। যখন চোখে ময়লা যাবে তখন চোখে পানি দিবেন।
চোখের মেকআপ পরিহার করা
চোখের মেকআপ বলতে সেগুলোকেই বুঝানো হয়েছে যেগুলো চোখে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ আইলাইনার, লেন্স ইত্যাদি। তবে চোখে কাজল ব্যবহার করতে পারেন। তবে মোটা করে দিবেন না। [এটা মেয়েরা করে সাধারণত]
আবার অনেকে চোখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রঙয়ের লেন্স ব্যবহার করেন। এটা ঠিক না। এতে চোখে ক্ষতি হয়।
দীর্ঘসময় ডিভাইস ব্যবহার ছেড়ে দিন
এখানে ডিভাইস বলতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল কে বোঝানো হয়েছে। অনেকে বিনা কারণে অনেকে আবার কজের জন্য দীর্ঘসময় এগুলো ব্যবহার করেন। করতেই পারেন সমস্যা নাই। তবে এগুলো ব্যবহারের সময় এগুলোর লাইট ও ব্রাইটনেস কমিয়ে নিবেন। এবং একাধারে তাকিয়ে থাকবেন না। ৫ মিনিট, ৬ মিনিট, ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট পর পর এইসব ডিভাইস থেকে চোখ সরিয়ে অন্য কোনো দিকে ২০-৩০ সেকেন্ড তাকাবেন। এতে চোখ কিছুটা হলেও ভালো থাকবেন।
চোখের যত্নে করনীয়
ফল খাওয়া
ফল খাওয়া সাস্থ্যর জন্য অনেক ভালো তেমনি চোখের জন্যও। সাস্থ্য ভালো থাকলে চোখও এমনিতেই ভালো থাকে। আপনারা চোখের ভালো থাকার জন্য ভিটামিন এ এর ফল খাবেন। যেমনঃ পাকা আম, পাকা পেঁপে, পাকা কাঠাল, আনারস, পেয়ারা, আমড়া, বড় বাতাবি লেবু, জামরুল,বাঙি, জাম ইত্যাদি ফল।
চোখের যত্নে আই ক্রিম
চোখের যত্নের জন্য আই ক্রিম অনেকটা আপনাকে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন আই ক্রিম যতই আপনাকে সাহায্য করুক সেটা বানাতে যেমন প্রাকৃতিক জরিবুটির সাহায্য নেওয়া হয়েছে তেমনি কিন্তু বিভিন্ন ক্যামিকেল এরও সাহায্য নেওয়া হয়। তাই আমি বলবো এই সব আই ক্রিম থেকে একটু দূরে থাকায় ভালো।
Read Also – রেজুলেশন লেখার নিয়ম
শেষ কথা
মহান আল্লাহ আপনাকে যেভাবে, যে নেয়ামত দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সেটা নিয়েই খুশি থাকুন এবং সেগুলোর যত্ন নিন।
তো বন্ধুরা আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্ট টি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আমাদের সাইটে এরকম আরো অনেক হেল্পফুল পোস্ট রয়েছে সেগুলো পড়তে চাইলে আমাদের সাইট টি একবার ভিজিট করুন। আর আজকের মতো এখানেই বিদায়, ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।