Sscস্কুল

ssc bangla 2nd paper pdf

ssc bangla 2nd paper pdf

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন । আজকে আমি আপনারদের জন্য নিয়ে এসেছি ssc bangla 2nd paper pdf ভার্সন । এবং সেই সাথে আরো এক্সর্টা বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন পুরো বইয়ের টেক্সট ভার্সন । তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি মুল আলোচনা ।

ssc bangla 2nd paper pdf
bangla 2nd paper ssc pdf 2022
ssc bangla 2nd paper guide pdf download
ssc bangla 2nd paper mcq pdf
bangla 2nd paper ssc pdf 2021
ssc bangla 2nd paper pdf download
bangla 2nd paper ssc syllabus
ssc bangla 2nd paper pdf chapter 1
ssc bangla 2nd paper pdf chittagong board
ssc bangla 2nd paper pdf comilla board
bangla 2nd paper ssc pdf download
ssc short syllabus 2022 pdf download bangla 2nd paper
ssc bangla 2nd paper 2020 pdf

 

এই পোষ্টের একদম শেষে ssc bangla 2nd paper pdf লিংক দেওয়া আছে ।

ssc bangla 2nd paper pdf

প্রসঙ্গ-কথা

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার জন্য শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত মেধা ও সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশে
সাহায্য করার মাধ্যমে উচ্চতর শিক্ষার যোগ্য করে তোলা মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য । শিক্ষার্থীকে দেশের
অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত পটভূমির প্রেক্ষিতে দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক করে তোলাও
মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম বিবেচ্য বিষয় ।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পরিমার্জিত শিক্ষাব্রমের আলোকে প্রণীত হয়েছে
মাধ্যমিক স্তরের সকল পাঠ্যপুস্তক । পা্যপুস্তকপুলোর বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নৈতিক ও
মানবিক মূল্যবোধ থেকে শুরু করে ইতিহাস ও এঁতিহ্য চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,
শিল্প-সাহিত্য-সংদ্কতিবোধ, দেশপ্রেমবোধ, প্রকৃতি-চেতনা এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার
প্রতি সমমর্যাদাবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

Ssc Bangla 2nd Paper Mcq Pdf 2022

রূপকল্প-২০২১ বর্তমান সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার । এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষণা করে ২০০৯ সালে
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুম্ভক তুলে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই নির্দেশনা
মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুন্তক বোর্ড বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করেছে।

নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ আমাদের সম্মুখে। তাই সময়, দেশ ও সমাজের চাহিদার প্রেক্ষাপটে ২০০০ সালে
পাঠ্যপুস্তকটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দ্বারা যৌন্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পুনরায় সংশোধন ও পরিমার্জন করা

 

এই পোষ্টের একদম শেষে ssc bangla 2nd paper pdf লিংক দেওয়া আছে ।

হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরে বালা একটি আবশ্যিক বিষয়।বাঞ্লা আমাদের মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষা এবং শিক্ষার মাধ্যম।
মাধ্যমিক স্তরে মাতৃভাষা বাঞ্জায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে এ ভাষায় ব্যবহারিক ও সৃজনশীল-উভয় দিকেই
শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা থাকা আবশ্যক। এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বাংলা ভাষার ধারণশক্তি ও প্রকাশক্ষমতা বৃদ্ধি
করে এর যুগোপযোগী, তাবোপযোগী ও বিষয়োপযোগী শুদ্ধ প্রয়োগ করতে হবে; সেজন্য বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি | যৌন্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে সংশোধিত ও পরিমার্জিত
“বাংলা ভাষার ব্যাকরণ” নবীন ও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এ প্রয়োজন অনেকাঘশে মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।

বানানের ক্ষেত্রে অনুসৃত হয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রণীত বানানরীতি। পাঠ্যপুন্তকটি রচনা, সম্পাদনা,
চিত্রাঙ্কন, নমুনা প্রশ্নীদি প্রণয়ন ও প্রকাশনার কাজে যারা আন্তরিকভাবে মেধা ও শ্রম দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ
জ্ঞাপন করছি।

প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ

ssc bangla 2nd paper pdf

অধ্যায় বিষয় পৃষ্টা
প্রথম অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ ভাষা ১
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বাংলা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয় ৮
দ্বিতীয় অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ ধবনিতত্ ১৩
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ধবনির পরিবর্তন ২৭
তৃতীয় পরিচ্ছেদ ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান ৩১
চতুর্থ পরিচ্ছেদ সন্ধি ৩৪
তৃতীয় অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ ৪৫
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ঘিরুক্ত শব্দ ৪৯
তৃতীয় পরিচ্ছেদ সংখ্যাবাচক শব্দ ৫৩
চতুর্থ পরিচ্ছেদ বচন ৫৬
পঞ্চম পরিচ্ছেদ পদাশ্রিত নির্দেশক ৫৯
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ সমাস ৬১
সপ্তম পরিচ্ছেদ উপসর্গ ৭২
অষ্টম পরিচ্ছেদ ধাতু ৭৯
নবম পরিচ্ছেদ কৃ্-প্রত্যয়ের বিস্তারিত আলোচনা ৮৩
দশম পরিচ্ছেদ তদ্ধিত প্রত্যয় ৮৮
একাদশ পরিচ্ছেদ শব্দের শ্রেণিবিভাগ ৯৫
চতুর্থ অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ পদ-প্রকরণ ৯৭
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ক্রিয়াপদ ১১২
তৃতীয় পরিচ্ছেদ কাল, পুরুষ এবং কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ ১১৯
চতুর্থ পরিচ্ছেদ সমাপিকা, অসমাপিকা ও যৌগিক ক্রিয়ার প্রয়োগ ১২৫
পঞ্চম পরিচ্ছেদ বাংলা অনুজ্ঞা ১৩২
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ক্রিয়া-বিভক্তি : সাধু ও চলিত ১৩৬
সপ্তম পরিচ্ছেদ কারক ও বিভক্তি এবং সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ ১৪৭
অষ্টম পরিচ্ছেদ অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ ১৫৯
পঞ্চম অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ বাক্য প্রকরণ ১৬৩
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ শব্দের যোগ্যতার বিকাশ ও বাগ্ধারা ১৭৭
তৃতীয় পরিচ্ছেদ বাচ্য এবং বাচ্য পরিবর্তন
চতুর্থ পরিচ্ছেদ উক্তি পরিবর্তন
পঞ্চম পরিচ্ছেদ যতি বা ছেদ-চিহ্ের লিখন কৌশল
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ বাক্যের শ্রেণিবিভাগ
সপ্তম পরিচ্ছেদ বাক্যে পদ-সংস্থাপনার ক্রম
প্রথম অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ
ভাবা

ssc bangla 2nd paper pdf

ভাষার সঞঙ্ঞ

মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য কষ্ঠধবনি এবং হাত, পা, চোখ ইত্যাদি জঙ্গা-প্রত্যঙ্গোর
সাহায্যে ইঞ্জিত করে থাকে। কণ্ঠধবনির সাহায্যে মানুষ যত বেশি পরিমাণ মনোভাব প্রকাশ করতে পারে,
ইঞ্জিতের সাহায্যে ততটা পারে না। আর কষ্ঠধ্বনির সহায়তায় মানুষ মনের সৃক্জাতিসুন্ষ্ষ ভাবও প্রকাশ করতে
সমর্থ হয়। কণ্ঠধবনি বলতে মুখগহ্বর, কণ্ঠ, নাক ইত্যাদির সাহায্যে উচ্চারিত বোধগম্য ধ্বনি বা ধ্বনি
সমফিকে বোঝায়। এই ধ্বনিই ভাষার মূল উপাদান। এই ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধ্বনির
সৃষ্টি হয় বাগ্যস্ত্রে দ্বারা। গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিহ্বা, তালু, দীত, নাক ইত্যাদি বাক্‌ প্রত্যঙ্গাকে এক
কথায় বলে বাগ্যস্ত্র। এই বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের
মাধ্যমকে ভাষা বলে।

সকল মানুষের ভাষাই বাগযস্ত্ের দ্বারা সৃষ্ট । তবুও একই ধ্বনি বা ধ্বনিসমফ্টির অর্থ বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর
ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। এ কারণে বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর জন্য আলাদা আলাদা ভাষার সৃষ্টি হয়েছে।

মানুষের কষ্ঠনিঃসৃত বাক্‌ সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ বাগযস্ত্ের দারা সৃষ্ট অর্থবোধক ধ্বনির
সঘকেতের সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই হলো ভাষা।

দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থান করে মানুষ
আপন মনোভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বস্তু ও ভাবের জন্য বিভিন্ন ধ্বনির সাহায্যে শব্দের সৃষ্টি করেছে।
সেসব শব্দ মূলত নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বন্তু ও ভাবের প্রতীক (3%0001) মাত্র। এ জন্যই আমরা বিভিন্ন
দেশে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার দেখতে পাই। সে ভাষাও আবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়ে
এসেছে। ফলে, এ শতকে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করে, হাজার বছর আগেকার মানুষের
ভাষা ঠিক এমনটি ছিল না।

 

ssc bangla 2nd paper pdf

বর্তমানে পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভাষা প্রচলিত আছে। তার মধ্যে বালা একটি ভাষা। ভাষাভাষী
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাছলা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা। বাংলাদেশের অধিবাসীদের মাতৃভাষা বাছলা।
বাংলাদেশের ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণ এবং ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসামের কয়েকটি অঞ্চলের
মানুষের ভাষা বাংলা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুত্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে বাংলা ভাষাভাষী জনগণ রয়েছে।
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ত্রিশ কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা।

ফর্মা-১, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-৯ম-১০ম শ্রেণি
হ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ

বাংলা ভাষারীতি

 

ssc bangla 2nd paper pdf

কথ্য, চলিত ও সাধু রীতি

বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের জনগণ নিজ নিজ অঞ্চলের ভাষায় কথা বলে। এগুলো আঞ্চলিক কথ্য ভাষা বা
উপভাষা। পৃথিবীর সব ভাষায়ই উপভাবা আছে। এক অঞ্চলের জনগণের মুখের ভাষার সঙ্তো অপর অঞ্চলের
জনগণের মুখের ভাষার যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। ফলে এমন হয় যে, এক অঞ্চলের ভাষা অন্য অঞ্চলের
লোকের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণের কথ্য ভাষা দিনাজপুর
বা রংপুরের লোকের পক্ষে খুব সহজবোধ্য নয়। এ ধরনের আঞ্চলিক ভাষাকে বনার ও লেখার ভাষা হিসেবে
সর্বজনীন স্বীকৃতি দেওয়া সুবিধাজনক নয়। কারণ, তাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাভাষীদের মধ্যে ভাবের
আদান-প্রদানে অন্তরায় দেখা দিতে পারে। সে কারণে, দেশের শিক্ষিত ও পন্ডিতসমাজ একটি আদর্শ ভাষা
ব্যবহার করেন। বাহলা ভাষাভাষী শিক্ষিত জনগণ এ আদর্শ ভাষাতেই পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও ভাবের
আদান-প্রদান করে থাকেন। বিভিন্ন অঞ্চলের উপতাষার কথ্য রীতি সমন্বয়ে শিষ্জনের ব্যবহৃত এই ভাষাই
আদর্শ চলিত ভাষা।

বালা, ইংরেজি, আরবি, হিন্দ প্রভৃতি ভাষার মৌখিক বা কথ্য এবং লৈখিক বা লেখ্য এই দুটি রূপ দেখা যায়।
ভাষার মৌখিক রূপের আবার রয়েছে একাধিক রীতি : একটি চলিত কথ্য রীতি অপরটি আঞ্চলিক কথ্য রীতি।

বাছলা ভাবার লৈখিক বা লেখ্য বুপেরও রয়েছে দুটি রীতি : একটি চলিত রীতি অপরটি সাধু রীতি ।
বাঞ্জা ভাষার এ প্রকারভেদ বা রীতিভেদ এভাবে দেখানো যায়

বাংলা ভাষা

লৈখিক মৌখিক

সাধু

চলিত
(সর্বজনস্বীকৃত লেখ্য রুপ) (সর্বজনস্বীকৃত আদর্শ চলিত রূপ) (উপভাষা)

২০১৮
২০১৮

ভাষা ত

সাধু ও চলিত রীতির পার্থক্য
১. সাধু রীতি
(ক) বালা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদবিন্যাস
সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট ।
(খ) এ রীতি গুরুগন্তীর ও তৎসম শব্দবহুল।
(গ) সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বন্তৃতার অনুপযোগী।
ঘে) এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্িয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।

২, চলিত রীতি

(ক) চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি সে যুগের শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথিত
ভাষা বা মুখের বুলি হিসেবে প্রচলিত ছিল, কালের প্রবাহে বর্তমানে তা অনেকটা পরিবর্তিত রূপ লাভ
করেছে।

(খ) এ রীতি তত্তব শব্দবহুল।

(গ) চলিত রীতি স্খক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য এবং বন্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য বেশি
উপযোগী ।

(ঘ) সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লা করে। বহু
বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে।
৩. আঞ্চলিক কথ্য রীতি
সব ভাষারই আঞ্চলিক রুপের বৈচিত্র্য থাকে, বাংলা ভাষারও তা আছে। বিভিন্ন অঞ্চলে কথিত রীতির বিভিন্নতা
লক্ষিত হয়; আবার কোথাও কোথাও কারো কারো উচ্চারণে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার মিশ্রণও লক্ষ্য করা যায়।
সাধু, চলিত ও কথ্য রীতির উদাহরণ

ক. সাধু রীতি

পরদিন প্রাতে হেডমাস্টার সাহেবের প্রস্তুত লিস্ট অনুসারে যে তিনজন শিক্ষক সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিবার
অনুমতি পাইয়াছিলেন, ত্বাহারা আটটার পূর্বেই ডাক-বাব্লায় উপস্থিত হইলেন। একটু পরে আবদুল্লাহ আসিয়া
হাজির হইল। তাহাকে দেখিয়া একজন শিক্ষক জিজ্ঞাসা করিলেন_ আপনি যে! আপনার নাম তো হেডমাস্টার

লিস্টে দেন নাই।
_কাজী ইমদাদুল হক

ssc bangla 2nd paper pdf

খ. চলিত রীতি

পুল পেরিয়ে সামনে একটা বাশ বাগান পড়ল। তারি মধ্য দিয়ে রাস্তা। মচমচ করে শুকনো বাশ পাতার রাশ ও
বাশের খোসা জুতোর নিচে ভেঙে যেতে লাগল। পাশে একটা ফাঁকা জায়গায় বুনো গাছপালা লতা ঝোপের ঘন
সমাবেশ। সমস্ত ঝোপটার মাথা জুড়ে সাদা সাদা তুলোর মতো রাধালতার ফুল ফুটে রয়েছে।

_বিভূতিভুষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাছলা ভাষার ব্যাকরণ

ওপরের “ক ও “খ* অনুচ্ছেদ দুটির ভাষার উপাদানে সাধু ও চলিত রীতির পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-

পদ

22

ঘর

ররুপ্্রত্র্রপ্রপ্রপ্রপ্রপ্রশ্রপ্র প্রত

দেন নাই
পার হইয়া

ভাঙিয়া যাইতে লাগিল

তাকে/ওকে

করবার/করার

পড়ল/পড়লো

ভেঙে যেতে লাগল

ফুটে রয়েছে

সজ্ো/সাথে।

২০১৮
২০১৮

ভাষা €

বাঘলা ভাষার শব্দ ভাণ্ডার

বাঙলা ভাষা গোড়াপত্তনের যুগে স্বল্প সংখ্যক শব্দ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও নানা ভাষার সং্ষ্পর্শে এসে এর শব্দ-
সম্ভার বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে তুর্কি আগমন ও মুসলিম শাসন পত্তনের সুযোগে ক্রমে প্রচুর
আরবি ও ফারসি শব্দ বাহ্লা ভাষার নিজস্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। এরপর এলো ইঘরেজ। ইঘরেজ
শাসনামলেও তাদের নিজস্ব সাহিত্য এবং সং্ডকৃতির বহু শব্দ বাঙলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করে। বাংলা ভাষা এ
সব ভাষার শব্দগুলাকে আপন করে নিয়েছে। এভাবে বাঙলা ভাষায় যে শব্দসন্তারের সমাবেশ হয়েছে,
সেগুলোকে পণ্ডিতগণ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন _

১, তৎসম শব্দ ২. তত্তব শব্দ ৩. অর্ধ-তত্সম শব্দ
৪. দেশি শব্দ ৫. বিদেশি শব্দ

১, তত্সম শব্দ : যেসব শব্দ সন্চকৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাহলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত
রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। তৎসম একটি পারিতাধিক শব্দ। এর অর্থ [তৎ (তার)+ সম
(সমান)]-তার সমান অর্থাৎ সন্কৃত। উদাহরণ : চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।

২. তত্ব শব্দ : যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের
মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাছা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তত্তব শব্দ। তত্ভব
একটি পারিতাধিক শব্দ। এর অর্থ, “তৎ, তোর) থেকে “ভব” (উৎপন্ন)। যেমন _ সঞ্চকৃত-হস্ত, প্রাকৃত-হথ,
তত্তব_হাত। সম্চকৃত-চর্মকার, প্রাকৃত-চম্মআর, তভ্ভব_চামার ইত্যাদি। এই তত্ব শব্দগুলোকে খাটি বাছলা
শব্দও বলা হয়।

ssc bangla 2nd paper pdf

৩, অর্ধ-তৎসম শব্দ : বাংলা ভাষায় কিছু সন্চকৃত শব্দ কিঞ্ৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে
অর্ধ-তৎসম শব্দ। তৎসম মানে সংফকৃত। আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সঙ্চকৃত। উদাহরণ : জ্যোছনা, ছেরান্দ,
গিন্নী, বোম, কুচ্ছিত- এ শব্দগুলো যথাক্রমে সক্কৃত জ্যোতী, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ঞব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত।

৪. দেশি শব্দ : বালাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন : কোল, মু্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সন্তকৃতির কিছু কিছু
উপাদান বাঙলায় রক্ষিত রয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। অনেক সময় এসব শব্দের
মূল নির্ধারণ করা যায় না; কিন্তু কোন ভাষা থেকে এসেছে তার হদিস মেলে। যেমন_কুঁড়ি (বিশ)_কোলভাষা,
পেট (উদর)-_তামিল ভাষা, চুলা (উনুন)-মুন্ডারী ভাষা। এরুপ-কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ভাব, ডাগর, টেকি
ইত্যাদি আরও বহু দেশি শব্দ বাংলায় ব্যবহৃত হয়।

৫. বিদেশি শব্দ : রাজনৈতিক, ধর্মীয়, স্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী
মানুষের বহু শব্দ বাঞ্জায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। এসব বিদেশি শব্দের
মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ই€রেজি শব্দই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সে কালের সমাজ জীবনের প্রয়োজনীয়
উপকরণরুপে বিদেশি শব্দ এ দেশের ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এছাড়া পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি- এসব
ভাষারও কিছু শব্দ একইভাবে বাংলা ভাষায় এসে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, মায়ানমার (বার্মা), মালয়,
চীন, জাপান প্রভৃতি দেশেরও কিছু শব্দ আমাদের ভাষায় প্রচলিত রয়েছে।
ঙ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ

ক. আরবি শব্দ : বাঞলায় ব্যবহৃত আরবি শব্দগুলোকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়_

(১) ধর্মসংক্রান্ত শব্দ : আল্লাহ্‌, ইসলাম, ঈমান, ওজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত,

(২ প্রশাসনিক ও সাঞ্চকৃতিক শব্দ : আদালত, আলেম, ইনসান, ঈদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম,

রায় ইত্যাদি।

ssc bangla 2nd paper pdf

খ. ফারসি শব্দ : বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
(১) ধর্মসংক্রান্ত শব্দ : খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা ইত্যাদি।

(২ প্রশাসনিক ও সাঞ্চকৃতিক শব্দ : কারখানা, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, তোশক, দফতর, দরবার,

(৩) বিবিধ শব্দ : আদমি, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাশ, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি।

গ, ইংরেজি শব্দ : ই€রেজি শব্দ দুই প্রকারের পাওয়া যায়_

(১) অনেকটা ইরেজি উচ্চারণে : ইউনিভার্সিটি, ইউনিয়ন, কলেজ, টিন, নভেল, নোট, পাউডার,

(২) পরিবর্তিত উচ্চারণে : আফিম (0101017), অফিস (06০০), ইস্কুল (9011901), বাজ (808),

হাসপাতাল (7050191), বোতল (7301016) ইত্যাদি।

ঘ. ইহরেজি ছাড়া অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষার শব্দ
(১) পর্তৃগিজ : আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি।
(২ ফরাসি : কার্তুজ, কুপন, ডিপো, রেস্তোরা ইত্যাদি।
(৩) ওকন্দাজ : ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, রুইতন, হরতন ইত্যাদি

উ. অন্যান্য ভাষার শব্দ

(১) গুজরাট : খন্দর, হরতাল ইত্যাদি।
(২) পাঞ্জাবি : চাহিদা, শিখ ইত্যাদি।

(৩) তুর্কি : চাকর, চাকু, তোপ, দারোগা ইত্যাদি।
(৪) চিনা : চা, চিনি ইত্যাদি।

(৫) মায়ানমার (বার্মিজ) : ফুঙ্ি, লুঙ্গি ইত্যাদি।

(৬) জাপানি রিক্সা, হারিকিরি ইত্যাদি।

২০১৮
২০১৮

ভাষা ৭

মিশ্র শব্দ : কোনো কোনো সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন _ রাজা-
বাদশা (তৎসম+ফারসি), হাট-বাজার (বাৎলা+ফারসি), হেড-মৌলতি (ইধরেজি+ফারসি), হেড-পন্ডিত
(ইংরেজি+তৎসম) খ্রিফীব্দ (ইথরেজি+তৎসম), ডাক্তার-খানা (ইরেজি+ফারসি), পকেট-মার
(ইঘরেজি+বাঙলা), চৌ-হদ্দি (ফারসি+আরবি) ইত্যাদি ।

পারিভাষিক শব্দ : বালা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের ভাবানুবাদমূলক প্রতিশব্দকে পারিভাষিক শব্দ বলে। এর
বেশিরভাগই এ কালের প্রয়োগ।

ssc bangla 2nd paper pdf

উদাহরণ : অন্জান-059017) উদযান-1101960177; নথি-?10$ প্রশিক্ষণ-0:8110116 ব্যবস্থাপক-
1019178561) বেতার-18010 মহাব্যবস্থাপক-561101:21] 101917861) সচিব-5$9016(81) ম্নাতক-
£8008195 ম্নাতকোতর-7995. £:800815$ সমাপ্তি-9579]) সাময়িকী-910901081; সমীকরণ-
0081101) ইত্যাদি।

জ্ঞাতব্য : বালা ভাষার শব্দসন্তার দেশি, বিদেশি, সঞ্কৃত- যে ভাষা থেকেই আসুক না কেন, এখন তা বাংলা
ভাষার নিজম্ব সম্পদ। এগুলো বাহলা ভাষার সঙ্জো এমনভাবে মিশে গেছে যে, বাংলা থেকে আলাদা করে এদের
কথা চিন্তা করা যায় না। যেমন-টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, রেডিও, স্যাটেলাইট ইত্যাদি প্রচলিত শব্দের কঠিনতর
বাঙলা পরিভাষা সৃ্ি নিষ্প্রয়োজন।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

বাঙজা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয়
ব্যাকরণ
ব্যাকরণ (- বি + আ+ কৃ + অন) শব্দটির বু্পত্তিগত অর্থ বিশেবভাবে বিশ্লেষণ।

সংজ্ঞা : যে শাস্ত্রে কোনো ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন
উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে।

ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা: ব্যাকরণ পাঠ করে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠন প্রকৃতি ও সেসবের সুষ্ঠু
ব্যবহারবিধি সমপর্কে জ্ঞান লাভ করা যায় এবং লেখায় ও কথায় ভাষা প্রয়োগের সময় শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ধারণ সহজ হয়।

ssc bangla 2nd paper pdf

বাংলা ব্যাকরণ : যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠনপ্রকৃতি ও স্বরূপ বিশ্লেষিত হয় এবং এদের
সম্পর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়োগবিধি আলোচিত হয়, তাই বাঞ্লা ব্যাকরণ

বাঙলা ব্যাকরণে আলোচ্য বিষয়
প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে। যেমন_
১. ধ্বনি (90870)
২, শব্দ (ড/01)
৩. বাক্য (9610121706)
8. অর্থ (122101712)
সব ভাষার ব্যাকরণেই প্রধানত নিম্নলিখিত চারটি বিষয়ের আলোচনা করা হয় _
১. ধ্বনিতত্ত্র (১/10101095%)
২. শব্দতত্ত্ব বা রূপতন্ত্ব (0$101701101955)
৩. বাক্যতন্ত্ব বা পদকরুম (91718) এবং
৪. অর্থতত্ত্ব (991701010105)
এ ছাড়া অভিধানতন্ত্র (,০য19092:817) ছন্দ ও অলৎকার প্রভৃতিও ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়।
১. ধ্বনিতত্ব
ধ্বনি : মানুষের বাক প্রত্যঙ্তা অর্থাৎ কণ্ঠনালি, মুখবিবর, জিহ্বা, আল-জিহ্বা, কোমল তালু, শত্ত তালু, দাত,
মাড়ি, চোয়াল, ঠোট ইত্যাদির সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজকে “ধ্বনি” বলা হয়। বাক প্রত্যঙ্জাজাত ধ্বনির
সৃক্্সতম মৌলিক অংশ বা একককে (0011) ধ্বনিমূল (2110110119) বলা হয়।

বর্ণ : বাক প্রত্যঙ্জাত প্রত্যেকটি ধ্বনি এককের জন্য প্রত্যেক ভাষায়ই লেখার সময় এক একটি প্রতীক বা চিহ্
(35111001) ব্যবহৃত হয়। বাছলায় এ প্রতীক বা চিহৃকে বলা হয় বর্ণ 0.90191)। যেমন-বাছলায় “বক” কথাটির
প্রথম ধ্বনিটির প্রতীক রূপে ব্যবহার করা হয়েছে “ব”, ইংরেজিতে সে ধ্বনির জন্য ব্যবহৃত হয় 3 বাট (বি);
আবার আরবি, ফারসি ও উর্দূতে একই ধ্বনির জন্য ব্যবহৃত হয় *₹ (বে)।

২০১৮
বালা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয় ৯

ধ্বনির উচ্চারণপ্রণালী, উচ্চারণের স্থান, ধ্বনির প্রতীক বা বর্ণের বিন্যাস, ধ্বনিসম্থযোগ বা সন্ধি, ধ্বনির
পরিবর্তন ও লোপ, ণত্ব ও ষত্তব বিধান ইত্যাদি বাংলা ব্যাকরণে ধ্বনিতস্ত্ের আলোচ্য বিষয়।

২. রপত্
এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়, শব্দের হ্ষুদ্রা্শকে বলা হয় রুপ
(70010116776)। রূপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতন্ত্বকে রূপতন্ত্ব (৬1070110195) বলা হয়।

৩. বাক্যত্ব

মানুষের বাক্প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনি সমন্বয়ে গঠিত শব্দসহযোগে সৃষ্ট অর্থবোধক বাক প্রবাহের বিশেষ বিশেষ
অহশকে বলা হয় বাক্য (9০01210)। বাক্যের সঠিক গঠনপ্রণালী, বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন, বিয়োজন,
এদের সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা, বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের স্থান বা ব্রম, পদের রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়
বাক্যতন্ত্বে আলোচিত হয়। বাক্যের মধ্যে কোন পদের পর কোন পদ বসে, কোন পদের স্থান কোথায়
বাক্যতন্ত্ে এসবের পূর্ণ বিশ্লেষণ থাকে। বাক্যতন্ত্রকে পদর্রমও বলা হয়।

৪. অর্থতন্
অর্থতত্বের আলোচ্য বিষয়।

বাংলা ব্যাকরণের আলোচনায় ব্যবহৃত কতিপয় পারিভাষিক শব্দ : বালা ব্যাকরণের আলোচনার জন্য পণ্ডিতেরা
কতিপয় পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। এ ধরনের প্রয়োজনীয় কিছু পারিভাষিক শব্দের পরিচয় নিম্নে

ssc bangla 2nd paper pdf

প্রাতিপদিক : বিভত্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন- হাত, বই, কলম ইত্যাদি।

সাধিত শব্দ : মৌলিক শব্দ ব্যতীত অন্য সব শব্দকেই সাধিত শব্দ বলে। যথা- হাতা, গরমিল, দম্পতি
ইত্যাদি।

সাধিত শব্দ দুই প্রকার : নাম শব্দ ও ক্রিয়া। প্রত্যেকটি বা নামশবন্দের ও ক্রিয়ার দুটি অহশ থাকে।
প্রকৃতি ও প্রত্যয়।

প্রকৃতি : যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।
প্রকৃতি দুই প্রকার : নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু।

নাম প্রকৃতি : হাতল, ফুলেল, মুখর– এ শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই – হাত + ল – হাতল (বীট),

ফুল + এল – ফুলেল (ফুলজাত) এবং মুখ + র – মুখর (বাচাল)। এখানে হাত, ফুল ও মুখ শব্দগুলোকে বলা
হয় প্রকৃতি বা মূল অতশ। এগুলোর নাম প্রকৃতি ।

ফর্মা-২, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-৯ম-১০ম শ্রেণি
১০ বাছলা ভাষার ব্যাকরণ

ক্রিয়া প্রকৃতি : আবার চলন্ত, জমা ও লিখিত_ এ শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই “চন্+অস্ত- চলন্ত
(েলমান), জম্‌ + আ – জমা (সঞ্চিত) এবং “লিখ + ইত – লিখিত (যা লেখা হয়েছে)। এখানে চল্‌, জম্‌ ও
লিখ _ এ তিনটি ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়ার মূল অংশ। এগুলোকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু।

প্রত্যয় : শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং কিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে।
কয়েকটি শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো।

নাম প্রকৃতি প্রত্যয় রত্যয়াস্ত শব্দ

হাত +্ল হাতল
ফুল + এল ফুলেল
মুখ +র মুখর

ক্রিয়া প্রকৃতি প্রত্যয় প্রত্যান্ত শব্দ
খচল্‌ + অস্ত চলন্ত
জম +আ জমা

বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায় : ১, তদ্ধিত প্রত্যয় ও ২, কৃৎ প্রত্যয়।

১, তদ্ধিত প্রত্যয় : শব্দমূল বা নাম প্রকৃতির সঙ্গো যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলে তদ্ধিত
প্রত্যয়। যেমন-হাতল, ফুলেল ও মুখর শব্দের যথাক্রমে ল, এল এবং র তদ্ধিত প্রত্যয়।

২. কৃৎ প্রত্যয় : ধাতু বা ক্রিয়া প্রকৃতির সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলে কৃৎ প্রত্যয়।
উদাহরণে চলত্ত, জমা ও লিখিত শব্দের যথাক্রমে অস্ত, আ এবং ইত কৃৎ প্রত্যয়

তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় তদ্ধিতান্ত শব্দ এবং কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ।
যেমন- হাতল, ফুলেল ও মুখর তদ্ধিতান্ত শব্দ এবং চলন্ত, জমা ও লিখিত কৃদন্ত শব্দ।

ssc bangla 2nd paper pdf

উপসর্গ : শব্দ বা ধাতুর পূর্বে কতিপয় সুনির্দিষ্ট অব্যয় জাতীয় শব্দাৎশ যুত্ত হয়ে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন,
সম্প্রসারণ ও সথকোচন ঘটিয়ে থাকে। এগুলোকে বলা হয় উপসর্গ।

বালা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থ না থাকলেও শব্দ বা ধাতুর পূর্বে ব্যবহৃত হলেই
অর্থবাচকতা সূচিত হয়। যেমন – “পরা’ একটি উপসর্গ, এর নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। কিন্তু ‘জয়* শব্দের পূর্বে
যুক্ত হয়ে হলো ‘পরাজয়”। এটি জয়ের বিপরীতার্থক। সেইরূপ “দর্শন” অর্থ দেখা। এর আগে ‘প্র” উপসর্গ যুক্ত
হয়ে হলো প্রদর্শন? অর্থাৎ সম্যকর্পে দর্শন বা বিশেষভাবে দেখা।

বাঙলা ভাষায় তিন প্রকারের উপসর্গ দেখা যায়: ১, সঞ্চকৃত ২. বাংলা ৩. বিদেশি উপসর্গ ।
১. সকৃত উপসর্গ : প্র, পরা, অপ-এরুপ বিশটি সঞ্চকৃত বা ভতদম উপসর্গ রয়েছে।

চে
২০১৮

বালা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয় ১১

তৎসম উপসর্গ তত্সম শব্দ বা ধাতুর পূর্বে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ‘পূর্ণ’ একটি তৎসম শব্দ। “পরি? উপসর্গ যোগে
হয় “পরিপূর্ণ। খহ্‌ হের)+ঘঞ – ‘হার”-এ কৃদন্ত শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করলে কীরুপ অর্থের পরিবর্তন
হলো লক্ষ কর : আ+হার – আহার (খাওয়া),বি + হার – বিহার (ভ্রমণ), উপ+হার-উপহার (পারিতোষিক),
পরি+হার-পরিহার (বর্জন) ইত্যাদি।

২। বাংলা উপসর্গ : অ, অনা, অঘা, অজ, আ, আব, নি ইত্যাদি অব্যয় জাতীয় শব্দাশ বাংলা উপসর্গ । খাটি
বাংলা শব্দের আগে এগুলো যুক্ত হয়। যেমন – অ+কাজ-অকাজ, অনা+ছিক্ি (সৃষ্টি শব্দজাত) – অনাছিক্ি
ইত্যাদি।

৩। বিদেশি উপসর্গ : কিছু বিদেশি শব্দ বা শব্দাংশ বাংনা উপসর্গরূপে ব্যবহৃত হয়ে অর্থের বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।
বিদেশি উপসর্গ বিদেশি শব্দের সঙ্গোই ব্যবহৃত হয়। যথা : বেহেড, লাপাত্তা, গরহাজির ইত্যাদি।

(পরে উপসর্গ অধ্যায়ে এ সম্বন্ধে বি্তারিত আলোচনা করা হয়েছে)।

অনুসর্গ : বাংলা ভাষায় ঘারা, দিয়া, কর্তৃক, চেয়ে, থেকে, উপরে, পরে, প্রতি, মাঝে, বই, ব্যতীত, অবধি,
হেতু, জন্য, কারণ, মতো, তবে ইত্যাদি শব্দ কখনো অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে পদরুপে
থাকে। এগুলোকে অনুসর্গ বলা হয়। যেমন_কেবল আমার জন্য তোমার এ দুর্ভোগ । মনোযোগ দিয়ে শোন,

শেষ পর্যস্ত সবার কাজে আসবে।
অনুশীলনী

১। ভাষা বলতে কী বোঝ? বাংলা ভাষায় সাধু ও চলিত রীতির পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।
২। বাছা ভাষার শব্দগুলোকে কয়টি গুচ্ছে বিভন্তু করা যায়? উদাহরণসহ বর্ণনা কর।
৩। নিচের শব্দগুলোকে গুচ্ছ অনুযায়ী সাজাও (তৎসম, তত্ভব ইত্যাদি শিরোনামের নিচে লেখ)।

৪। ব্যাকরণ কাকে বলে। ব্যাকরণে কী কী বিষয় আলোচিত হয়?
€। নিচের বাক্যগুলোকে আদর্শ চলিত রীতিতে পরিবর্তন কর।
এখনও সে স্কুল হইতে ফিরে নাই।

আমি তাহাকে চিঠি লিখিয়াছি।

সে আসিবে বলিয়া ভরসা করিতে পরিতেছি না।

আমি তাহাকে দিয়া কাজটি করাইয়া লইয়াছি।

স্কুল পালাইয়া রবীন্দ্রনাথ হইতে পারিবে না।

বন্তৃতা করিতে করিতে তিনি অজ্ঞান হইয়া গড়িলেন।

লাগে শ্রে লি তেনে
১২ বাছলা ভাষার ব্যাকরণ

ছ. সুন্দর মুখ দেখিয়া তুলিয়া যাইও না, দুষ্ট লোকের মি কথায় তুলিও না।
জ. যাহাদের কথামতো অগ্রসর হইলাম শেষ পর্যন্ত তাহারাই আমাকে বিপদে ফেলিল।
ঝ. দুই বন্ধু বনে ভ্রমণ করিতেছিল, এমন সময় এক ভালুক আসিয়া তাহাদের সম্মুখে হাজির হইল।

৬। ঠিকতে টিক (৭) চিহ্ন দাও।

বাংলা লেখ্য ভাষার রীতি কয়টি? – একটি/ দুটি/তিনটি/চারটি

সাধু রীতির বাক্যবিন্যাস-অনিয়ন্ত্রিত ও অনির্দিষ্ট অনিয়ন্ত্রিত ও অনির্দিষ্ট/ অনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট
চলিত রীতি-দুর্বোধ্য/সহজবোধ্য/বন্তৃতার অনুপযোগী

বাংলা ভাষার শব্দসন্তারকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? – তিন ভাগে/ পাচ ভাগে/ চার ভাগে

দেশি শব্দ-সঞ্চকৃত জাত / তত্তব জাত/ দেশজ

. তথসম শব্দ মানে- সঞ্চকৃত/ ফারসি/ উর্দু

৭। ক. নিচের শব্দগুলো থেকে ইঘরেজি শব্দ খুঁজে বের কর।
কিতাব, হাকিম, আনারস, চাকর, পেন্সিল, কলম, টিন, স্কুল, শার্ট

খ. নিচের শব্দগুলো থেকে আরবি-ফারসি শব্দ খুঁজে বের কর এবং আরবি শব্দের ডানে “আ” ও ফারসি
শব্দের ডানে “ফা” লিখে দাও।

ফুটবল, গুদাম, বালতি, ফেরেশতা, বেহেশত, ইমান, গোসল, মন্তুব, মাওলানা।
গ. নিচের শব্দগুলোর প্রতি গুচ্ছের পাশে ডান দিকে যে নাম লেখা আছে তা ভুল হলে ঠিক নামটি বসাও।
চন্দ্র, সূর্ধ, পত্র, ধর্ম – পর্তুগিজ
– চুলা, কুলা, চোঙ্গা, ডিজ্ঞি-ইঘরেজি
» হাত, চামার, কামার, মাথা – দেশি
* আলপিন, আলমারি, পাউরুটি, চাবি-তৎসম
* চাকু, চাকর, দারোগা, তোপ-তত্ভব
» আল্লাহ্‌, ইসলাম, তসবি, উকিল-তুর্কি।

৮। নিচে ব্যাকরণের দুটি সম্ত্ঞা দেওয়া হলো। যেটি ঠিক তার বাম পাশে টিক (খ) চিহ্ন দাও।

১. যে শাস্ত্রে ভাষার বিভিন্ন উপাদান, তার গঠনপ্রকৃতি ও তার স্বরুপ বিশ্লেষিত হয় এবং সুষ্ঠু প্রয়োগবিধি
আলোচিত হয় তাকে ব্যাকরণ বলে।

২. যে শাস্ত্র পাঠ করলে ভাষা শুদ্ধর্পে পড়তে, লিখতে ও বলতে পারা যায় তাকে ব্যাকরণ বলে।

লা গে শ্রে ল্য

সি

২০১৮
২০১৮

ssc bangla 2nd paper pdf

দ্বিতীয় অধ্যায়
প্রথম পরিচ্ছেদ
বালা ভাষার ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ
কোনো ভাষার বাক্‌ প্রবাহকে সৃক্ষতাবে বিশ্লেষণ করলে আমরা কতগুলো মৌলিক ধ্বনি (90010) পাই। বাঙলা
তাষাতেও কতগুলো মৌলিক ধ্বনি আছে।
বাঙলা ভাষার মৌলিক ধ্বনিগুলোকে প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা হয় : ১. স্বরধবনি ও ২. ব্যঞ্জনধবনি।

১, জ্বরধবনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস-তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও
কোনো প্রকার বাধা পায় না, তাদেরকে বলা হয় স্বরধবনি (৬০%৩] 90010) | যেমন _ অ, আ,ই,উ
ইত্যাদি।

২. ব্যঙ্জনধবনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস-তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও না
কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় কি€বা ঘর্ষণ লাগে, তাদেরকে বলা হয় ব্যঞ্জনধবনি (00090179110 90011)
যেমন- ক,চ,ট,ত, প ইত্যাদি।

বর্ণ : ধ্বনি নির্দেশক চিহৃকে বলা হয় বর্ণ (90191) |

স্বরবর্ণ : স্বরধবনি দ্যোতক লিখিত সাঘকেতিক চিহৃকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন _ অ, আ, ই, ঈ,উ,উ
ইত্যাদি।

ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধবনি দ্যোতক লিখিত সাথকেতিক চিহৃকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন-ক ইত্যাদি।
বর্ণমালা : যে কোনো ভাষায় ব্যবহৃত লিখিত বর্ণসমফ্টিকে সেই ভাষার বর্ণমালা (/১1119091) বলা হয়।

বিশেষ জ্ঞাতব্য : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বাঙলা ব্যঙ্জনবর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি “অ+ স্বরধবনিটি যোগ করে উচ্চারণ
করা হয়ে থাকে। যেমন – কৃ+ অ – ক, ইত্যাদি। স্বরধবনি সত্ুক্ত না হলে অর্থাৎ উচ্চারিত ব্যঙ্জনের
নিচে ‘হস্” বা “হল: চিহ্ব (.) দিয়ে লিখিত হয়।

বাছলা বর্ণমালা

বাঙলা বর্ণমালায় মোট পঞ্চাশ (৫০)টি বর্ণ রয়েছে। তার মধ্যে স্বরবর্ণ এগার (১১)টি এব. ব্যঞ্নবর্ণ উনচন্লিশটি
(৩৯)টি।

১,ত্বরবর্ণ £ অআইঈউউখএএওও ১১টি

২.ব্যঞজনবর্ণ : কখগঘঙ €টি
চছজঝঞ €টি
১৪ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ

 

টঠটঢটঢণ ৫টি
তথদধন ৫টি
পফবভম €টি
যরল ৩টি
শষসহ ৪টি
ডুঢ়য়ৎ ৪টি
৪ * ৩টি

মোট ৫০টি

 

 

বিশেষ জ্ঞাতব্য : এ, ও – এ দুটি দ্বিস্বর বা যৌগিক স্বরধবনির চিহ্ন । যেমন -অ+ই-এ,অ+উ-ও

স্বর ও ব্যজনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ
কার ও ফলা

কার : স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্য্জনবর্ণের দুটি রুপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত
হয়, অর্থাৎ কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না, তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্ণরূপ।
যেমন – অ, আ, ই, ঈ, উ, উ,খ, এ, এ, ও, ও ।

এই রুপ বা 10াা। শব্দের আদি, মধ্য, অন্ত – যে কোনো অবস্থানে বসতে পারে। ম্বরধ্বনি যখন
ব্ঞনধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়, তখন সে স্বরধ্বনিটির বর্ণ সর্থক্ষপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্ো
যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। স্বরবর্ণের এ সক্ষিপ্ত রুপকে বলা হয় স্ক্ষিপ্ত স্বর বা ‘কার। যেমন _ ‘আ’-এর
সর্থক্ষ্ত রূপ (1)। “ম’-এর সঙ্গে ‘আ’_এর সর্থক্ষপ্ত রূপ “1 “যুক্ত হয়ে হয় “মা”। বানান করার সময় বলা
হয় ম এ আ-কার (মা )। স্বরবর্ণের নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন – আ-কার (1), ই-কার
(টি, ঈ-কার (ী), উ-কার, (.), উ-কার (.), খ-কার (:), এ-কার (0), এঁ-কার (), ও-কার (০),
ও-কার (০7)। অ-এর কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ বা “কার? নেই।

আ-কার (1) এবং ঈ-কার €) ব্যঞ্জনবর্ণের পরে যুক্ত হয়। ই-কার (0, এ_কার (৫) এবং এঁ-কার (6)
ব্যঞনবর্ণের পূর্বে যুক্ত হয়। উ-কার (.), উ-কার (.) এবংখ-কার (5) ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে যুক্ত হয়। ও-কার
(০) এবং ও-কার (০) ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে ও পরে দুই দিকে যুক্ত হয়।

উদাহরণ : মা, মী, মি, মে, মৈ, যু, মূ, মৃ, মো, মৌ।

কোনো কোনো স্বর কিংবা অন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে আকৃতির পরিবর্তন হয় এবং কখনো কখনো
সংক্ষিপ্তও হয়। যেমন-ম্য, আর ইত্যাদি। স্বরবর্ধণের সর্ঘক্ষিপ্ত রূপকে যেমন “কার’ বলা হয়, তেমনি
ব্যজ্নবর্ণের সংস্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় “ফলা’। এভাবে যে ব্যজনটি যুক্ত হয়, তার নাম অনুসারে ফলার নামকরণ
করা হয়। যেমন_ ম-এ য-ফলা – ম্য, ম- এ র-ফলা – মর, ম-এ ল- ফলা – শর, ম-এ ব-ফলা -ম্ব।
র-ফলা ব্যঞ্জনবর্ণের পরে হলে লিখতে হয় নিচে । ‘ম্”; আবার “র” যদি ম-এর আগে উচ্চারিত হয়, যেমন-_

২০১৮
২০১৮

ধ্বনিতন্্ব ১৫

ssc bangla 2nd paper pdf

ম-এ রেফ “র্ম* তবে লেখা হয় ওপরে, ব্যজনটির মাথায় রেফ (4) দিয়ে। “ফলা” যুক্ত হলে যেমন, তেমনি
“কার” যুক্ত হলেও বর্ণের আকৃতির পরিবর্তন ঘটে। যেমন _ হ-এ উ-কার-্হু, গ-এ উ-কার _ গু, শ-এ
উ-কার – শু, স-এ উ-কার-সু, র-এ উ-কার – বু, র-এ উ-কার – বু, হ-এ খ-কার-হু।

ক থেকে ম পর্যস্ত গচিশটি স্পর্শধবনি (চ1951৬০)কে উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে পাচটি গুচ্ছে বা বর্ণে ভাগ করা
হয়েছে। প্রতি গুচ্ছের প্রথম ধ্বনিটির নামানুসারে সে গুচ্ছের সবগুলো ধ্বনিকে বলা হয় এ ব্গীয় ধ্বনি। বাঁভুক্ত
বলে এ ধ্বনির চিহ্‌ গুলোকেও এ বাঁয়ি নামে অভিহিত করা হয়। যেমন-

কখগঘঙ ধ্বনি হিসেবে এগুলো কষ্ঠ্য ধ্বনি, বর্ণ হিসেবে “ক” কাঁয় বণ

চছজঝঞ * ” ” তালব্য ণ্চ
টঠডঢণ ্ ঙ ্া ূরধন্য ন্ট,
তথদধন ৮ ৮ ? দত্ত নত,
পফবভম ” ” ” ওষ্ঠ্য পপ?
উচ্চারণের ম্থানভেদে ব্যজ্জনধ্বনির বিভাগ

ধ্বনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে মুখবিবরে উচ্চারণের মূল উপকরণ বা উচ্চারক জিহবা ও ওষ্ঠ। আর উচ্চারণের স্থান
হলো কণ্ঠ বা জিহ্বামূল, অগ্রতালু, মূর্ধা বা পশ্চাৎ দত্তমূল, দত্ত বা অগ্র দস্তমূল, ওষ্ঠ্য ইত্যাদি।
উচ্চারণের স্থানের নাম অনুসারে ব্যঞ্নধ্বনিগুলোকে গাচ ভাগে ভাগ করা হয় : ১, কষ্ঠ্য বা জিহ্বামূলীয়

২. তালব্য বা অগ্রতালুজাত, ৩. মূর্ধন্য বা পশ্চাৎ দস্তমূলীয়, ৪. দস্ত্য বা অগ্র দত্তমূলীয় এবং ৫. ওষ্ট্য।
ধবনি উচ্চারণের জন্য যে প্রত্যঙ্গ গুলো ব্যবহৃত হয় ঃ

– ঠোট (ওষ্ঠ ও অধর)
– দীতের পাটি

_ দস্তমূল, অগ্র দত্তমূল

– অগ্রতালু, শক্ত তালু
পশ্চান্তালু, নরম তালু, মূর্ধা
– আলজিভ

– জিহ্বাগ্র

শু সম্মুখ জিহবা

– পশ্চাদজিহবা, জিহবামূল
নাসা-গহ্বর

স্বর- পল্লব, স্বরতন্ত্রী
১২ – ফুসফুস

৩৮ ত্য ৮0 ডে সি 00 0:47

৬০
9
]

তত

 

ssc bangla 2nd paper pdf

তে
|
১৬ বালা ভাষার ব্যাকরণ

নিম্নে উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী বাছলা ব্যঞ্জনধবনির বিভাজন দেখানো হলো :

 

 

উচ্চারণ স্থান ব্জনধবনির বর্ণসমূহ উচ্চারণস্থান অনুযায়ী নাম
জিহবামূল কখগঘঙ কষ্ঠ্য বা জিহবামৃলীয় বর্ণ
অগ্রতালু চছজঝঞশযয তালব্য বর্ণ

পশ্চাৎ দত্তমূল টঠডঢণষরড় মুর্বন্য বা পশ্চাৎ দত্তমূলীয় বর্ণ
অগ্র দত্তমূল তথদধনলস দস্ত্য বর্ণ

ওষ্ঠ পফবতম ওষ্ট্য বর্ণ

 

 

 

 

 

দ্রষ্টব্য : খ্ড-ত (২-কে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ধরা হয় না। এটি “ত” বর্ণের হস্-চিহ্ন যুক্ত ত)-এর রুপভেদ মাত্র।

₹ ৪” _ এ তিনটি বর্ণ স্বাধীনভাবে স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। এ বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি অন্য
ধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে একত্রে উচ্চারিত হয়। তাই এ বর্ণগুলোকে বলা হয় পরাশ্রয়ী বর্ণ।

ঙ ঞ ণ ন ম-এ পীচটি বর্ণ এবং ংও * যে বর্ণের সঙ্গে লিখিত হয় সে বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি উচ্চারণের সময়
ফুসফুস নিঃসৃত বায়ু মুখবিবর ছাড়াও নাসারম্ত্র দিয়ে বের হয়; অর্থাৎ এগুলোর উচ্চারণে নাসিকার সাহায্য
প্রয়োজন হয়। তাই এগুলোকে বলে অনুনাসিক বা নাসিক্য ধবনি। আর এগুলোর বর্ণকে বলা হয় অনুনাসিক
বা নাসিক্য বর্ণ।

স্বরধ্বনির তুস্বতা ও দীর্ঘতা : স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে সময়ের স্বল্পতা ও দৈর্ঘ্য অনুসারে তুস্ব বা দীর্ঘ হয়।
যেমন- ইংরেজি 1]1-পূর্ণ এবং 1001 বোকা। শব্দ দুটোর প্রথমটির উচ্চারণ তুস্ব ও দ্বিতীয়টির উচ্চারণ দীর্ঘ।
ত্ুস্ব বর্ণের উচ্চারণ যে দীর্ঘ হয় এবং দীর্ঘ বর্ণের উচ্চারণ যে তুস্ব হয়, কয়েকটি উদাহরণে তা স্পট হবে।
যেমন-ইলিশ, তিরিশ, উচিত, নতুন-লিখিত হয়েছে ত্ুচ্ব ই-কার ও ত্রম্ব _ উ-কার দিয়ে; কিন্তু উচ্চারণ হচ্ছে
দীর্ঘ। আবার দীন, ঈদুল ফিত্র, ভূমি_লিখিত হয়েছে দীর্ঘ ঈ-কার এবং দীর্ঘ উ-কার দিয়ে; কিন্তু উচ্চারণে স্ব
হয়ে যাচ্ছে। একটিমাত্র ধ্বনিবিশিষ্ট শব্দের উচ্চারণ সবসময় দীর্ঘ হয়। যেমন-দিন, তিল, পুর ইত্যাদি।

যৌগিক স্বর : পাশাপাশি দুটি স্বরধবনি থাকলে দ্ুত উচ্চারণের সময় তা একটি সত্যুক্ত স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত

হয়। এরুপে একসঙ্তো উচ্চারিত দুটো মিলিত স্বরধ্বনিকে যৌগিক স্বর বা দ্বি-স্বর বলা হয়। যেমন-অ + ই
– অই (বই), অ+ উ – অউ (বউ), অ+ এ – অয়, (বয়, ময়না), অ+ ও – অও (হও, লও)।

বাঙলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সতখ্যা গচিশ।

আ + ই – আই (যাই, ভাই)ঃ আ + উ – আউ (লাউ)? আ + এ – আয় (যায়, খায়); আ + ও _ আও (যাও,
খাও)? ই + ই – ইই (দিই); ই + উ – ইউ (শিউলি); ই + এ – ইয়ে (বিয়ে); ই + ও – ইও (নিও, দিও);
উ+ ই _ উই উই, শুই); উ + আ – উয়া (কুয়া); এ + আন্এয়া (কেয়া, দেয়া), এ + ই _ এই (সেই,
নেই); এ+ ও _ এও (খেও)ঃ ও + ও _ ওও (শোও)।

বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে: এ এবং ও | উদাহরণ : কৈ, বৌ। অন্য যৌগিক স্বরের
চিহ্ন স্বরূপ কোনো বর্ণ নেই।

২০১৮
ব্যঞ্জনধবনির বিভাগ ও উচ্চারণগত নাম

আগে আমরা দেখেছি যে, গীচটি বর্গ বা গুচ্ছ প্রত্যকটিতে পীচটি বর্ণ পাওয়া যায়। এগুলো স্পৃষট ধ্বনিজ্ঞাপক।

ক থেকে ম পর্যন্ত এ পচিশটি ব্যঞ্জনকে স্পর্শ ব্যঙ্জন বা সৃষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।

উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্পর্শ ব্যঞ্জনধবনিগুলোকে প্রথমত দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ১. অঘোষ এবং ২. ঘোষ।

১. যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে বলা হয় অঘোষ ধবনি। যেমন- ক, খ,চ,
ছ ইত্যাদি।

২. যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, তাকে বলে ঘোষ ধ্বনি। যেমন-গ, ঘ, জ, ঝ ইত্যাদি।
এগুলোকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় : ক. অল্পপ্রাণ এবং খ. মহাপ্রাণ।

ক. যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে, তাকে বলা হয় অক্পপ্রাণ ধবনি। যেমন-ক, গ,
চ,জ ইত্যাদি।

খ, যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে, তাকে বলা হয় মহাপ্রীণ ধবনি। যেমন-খ, ঘ,
ছ,ঝ ইত্যাদি।

উম্মধ্বনি : শ, ষ, স, হ – এ চারটি বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা শ্বাস যতক্ষণ খুশি রাখতে

পারি। এগুলোকে বলা হয় উম্মধ্বনি বা শিশধবনি। এ বর্ণগুলোকে বলা হয় উম্মবর্ণ।

শষস- এ তিনটি বর্ণে দ্যোতিত ধবনি অঘোষ অল্পপ্রীণ, আর হ+ ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি।

অন্তঃস্থ ধ্বনি : য্‌ (৮) এবং ৰ্‌ (//) এ দুটো বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনির উচ্চারণ স্থান স্পর্শ ও উম্মধ্বনির

মাঝামাঝি। এজন্য এদের বলা হয় অন্তঃস্থ ধবনি।

ধবনির উচ্চারণ বিধি
স্বরধ্বনির উচ্চারণ

ই এবং ঈ-ধবনির উচ্চারণে জিহবা এগিয়ে আসে এবং উচ্চে অগ্রতালুর কঠিনাঘশের কাছাকাছি গৌছে। এ
ধ্বনির উচ্চারণে জিহবার অব্থান ই-ধ্বনির মতো সম্মুখেই হয়, কিন্তু একটু নিচে এবং আ-ধবনির বেলায়
আরও নিচে। ই ঈ এ (অ) ধ্বনির উচ্চারণে জিহবা এগিয়ে সন্মুখভাগে দাতের দিকে আসে বলে এগুলোকে বলা
হয় সম্মুখ ধবনি। ই এবং ঈ-র উচ্চারণের বেলায় জিহবা উচ্চে থাকে। তাই এগুলো উচ্চসম্মুখ স্বরধবনি। এ
মধ্যাবস্থিত সম্মুখ স্বরধ্বনি এবং আ নিম্নাবস্থিত সন্মুখ স্বরধ্বনি।

উ এবং উ-ধ্বনি উচ্চারণে জিহ্বা পিছিয়ে আসে এবং পশ্চাৎ তালুর কোমল অশের কাছাকাছি ওঠে। ও-ধ্বনির
উচ্চারণে জিহবা আরও একটু নিচে আসে। অ-ধ্বনির বেলায় তার চেয়েও নিচে আসে। উ উ ও অ-ধ্বনির
উচ্চারণে জিহবা পিছিয়ে আসে বলে এগুলোকে পশ্চাৎ স্বরধবনি বলা হয়। উ ও উ-ধ্বনির উচ্চারণকালে জিহ্বা
উচ্চে থাকে বলে এদের বলা হয় উচ্চ পশ্চাৎ স্বরধ্বনি ও মধ্যাবস্থিত পশ্চাৎ স্বরধ্বনি এবং অ-নিম্নাবস্থিত
পশ্চাৎ স্বরধ্বনি।

ফর্মা-৩, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ-ঈ৯ম-১০ম শ্রেণি
১৮ বাছলা ভাষার ব্যাকরণ

বাঙলা আ-ধ্বনির উচ্চারণে জিহবা সাধারণত শায়িত অবন্থায় থাকে এবং কণ্ঠের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং মুখের
সম্মুখ ও পশ্চাৎ অংশের মাঝামাঝি বা কেন্দ্রস্থানীয় অংশে অবস্থিত বলে আ-কে কেন্দ্রীয় নিম্নাবস্থিত স্বরধবনি
এবং বিবৃত ধ্বনিও বলা হয়।

বাংলা স্বরধ্বনিগুলোর উচ্চারণ নিচের ছকে দেখানো হলো

 

ssc bangla 2nd paper pdf

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্মুখ, ওষ্ঠাধর প্রসূৃত | কেন্দ্রীয়, ওষ্ঠাধর বিবৃত | পশ্চাৎ, ওষ্ঠাধর গোলাকৃত
উচ্চ ইঈ উউ
উচ্চমধ্য এ ও
নিম্নমধ্য আ্যা অ
নিম্ন আ
শব্দে অবস্থানতেদে অ দুইভাবে লিখিত হয়

১, স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত অ। যেমন-_অমর, অনেক।

২. শব্দের মধ্যে অন্য বর্ণের সঙ্গে বিলীনভাবে ব্যবহৃত অ। যেমন_ কর, বল। এখানে ক এবং র আর ব
এবং ল বর্ণের সঙ্গে অ বিলীন হয়ে আছে। (ক+অ+রু+অ;ঃব্+ অ+ল্+অ)।

শব্দের অ-ধ্বনির দুই রকম উচ্চারণ পাওয়া যায়
১. বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ । যেমন_ অমল, অনেক, কত।

 

Download LInk

 

 

Related Articles