সাহিত্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা শরিফ আহমাদ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা

 

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস । এই দিবসটি ইতিহাসের এক বেদনাময় অধ্যায় । কেননা এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকাররা সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলা শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ।

পড়ুন – বিজয় দিবসের কবিত

মূলত ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে । যুদ্ধজয়ী বাঙালি যেন আর কোনদিন বিশ্ব সভায় শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তার লক্ষ্যই এই নীল নকশার বাস্তবায়ন ।

 

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর কে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় । এবং অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপন করা হয় । শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে নিয়ে বেশ কয়েকটি ছড়া কবিতা লিখেছেন তরুণ কবি শরিফ আহমাদ । নিম্নে সবগুলো দেওয়া হল । 

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা

 

বুদ্ধিজীবী দিবস

শরিফ আহমাদ

 

বুদ্ধিজীবী শহীদ দিবস

আবার এলো আজ

দেশজুড়ে হয় কত কিছু

বন্ধ যেন কাজ ।‌

পড়ুন – বিজয় দিবসের বক্তব্য 

ব্যানার ফেস্টুন শোভা বাড়ায়

পথের মোড়ে ওই

শোক পালনের দৃশ্য দারুন

নেই কোন হইচই ।

 

দোয়া মাহফিল আলোচনার

অনেক অনুষ্ঠান

ত্যাগ মহিমার গল্পকথায়

জেগে ওঠে প্রাণ ।

বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা
বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা

ঐ শহীদদের প্রতি রইলো

শ্রদ্ধা এবং শোক

সোনার বাংলা গড়তে সবাই

আজ সচেতন হোক।

 

বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা

 

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ

শরিফ আহমাদ

বীর বাঙ্গালি লড়াই করে

জীবন বাজি রেখে

দেশ বিরোধী চক্র অবাক

জয়ের দৃশ্য দেখে ।

 

ভাবনা ছাড়া এখন তারা

কিবা করতে পারে

বাঙালিদের বিজয় হলে

আসবে বিপদ ঘাড়ে ।

 

বিকল্প পথ হাতে নিয়ে

মাঠে নামে তারা

কৌশলে খুন করে বেড়ায়

উজাড় করে পাড়া ।

 

বুদ্ধিজীবী খতম করার

চেষ্টা চালায় ভীষণ

অসংখ্য প্রাণ ঝরে গেলেও

ব্যর্থ ওদের মিশন ।

 

বুদ্ধিজীবীর স্মৃতিসৌধে

দেখায় সবাই প্রীতি

দেশ বিরোধী চক্র হারে

ঘৃণ্য তাদের স্মৃতি ।

বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা

 

বিজয় আসে

শরিফ আহমাদ

 

একাত্তরে লড়াই যখন শুরু–

বীর বাঙ্গালি জাগে

ছোটে সবার আগে

জালিমের বুক কাঁপে দুরুদুরু ।

 

তুমুল লড়াই চলে দিনে রাতে–

পোড়ে কত বাড়ি

কাঁদে শিশু নারী

মুক্তিযোদ্ধা থাকে সবার সাথে ।

 

পাকহানাদার হটতে থাকে পিছু–

বিভিন্ন কৌশলে

আটকে ইঁদুর কলে

রাজাকার ও সঙ্গে ছিলো কিছু ।

 

লাখ শহীদের রক্ত নদী ঝরে–

নয়টি মাসের শেষে

সূর্য ওঠে হেসে

বিজয় আসে শহর গ্রামের ঘরে ।

 

বুদ্ধিজীবী দিবসের ছড়া

 

স্মৃতির আয়না

শরিফ আহমাদ

 

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের

সামনে যখন দাঁড়াই

স্মৃতির পাতায় হারাই ।‌

 

চোখে ভাসে শহীদ হওয়া

কত জ্ঞানীর মুখ

জানতে তাদের জীবনকথা

হই আরো উৎসুক।

 

মুক্তিযুদ্ধের আসল ছবি

তারাই দেখে ঠিক

বাঁচলে ওদের জ্ঞনের আলো

পৌঁছতো চতুর্দিক ।

 

দেশবিরোধী চক্র ওদের

জীবন করে শেষ

বিশ্বসভায় দাঁড়ায় তবু

স্বাধীন বাংলাদেশ ।

 

বুদ্ধিজীবী জ্ঞানীগুণী

জাতির জন্য আয়না

তাদের ভোলা যায় না ।

 

শেষকথাঃ

বুদ্ধিজীবী দিবসের কবিতা ছড়া গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে ? কমেন্ট করে জানতে পারেন। আরো সুন্দর লেখার জন্য লেখককে পরামর্শ কিংবা প্রেরণা যোগাতে পারেন ।

কিন্তু সাবধান । অনুমতি ছাড়া লেখাগুলো কোন সাইটে প্রকাশ করবেন না। কেউ কোথাও পাবলিস্ট করলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে । তাই কপি করা থেকে বিরত থাকুন ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Related Articles