বিশ্ববিদ্যালয়বিসিএস

বিসিএস প্রস্তুতি ও বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা কী?

বিসিএস প্রস্তুতি গাইডলাইন 

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ৷ সুপ্রিয় পাঠক! কেমন আছেন? নিশ্চয় আপনি বিসিএস পরীক্ষার্থী অথবা বিসিএস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী?

বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে আপনার মাঝে জানার কৌতূহল রয়েছে ৷ সমাজে কারা বিসিএস দিচ্ছে? কি ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন? বিসিএস পরীক্ষায় কি কি প্রশ্ন আসে? কোন কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়?

বিসিএস ক্যাডার মূলত কাদেরকে বলা হয়? বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে? কিভাবে পড়াশোনা করলে প্রস্তুতি নিলে বিসিএস পরীক্ষায় পাস করা যাবে ? বিসিএস পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আমরা চলমান নিবন্ধে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ ৷

সূচিপত্র

বিসিএস প্রস্তুতিঃ

 

বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ ৷ এখানে নিজের অবস্থান নিজেকে তৈরি করতে হয় ৷ যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হয় ৷ যে কোন সেক্টরে নিজেকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছাতে হলে মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন প্রতিজ্ঞা করে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় ৷ এই প্রতিযোগিতার যুগে একজন বিসিএস ক্যাডার হওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয় ৷ বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য আপনাকে চরম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে ৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হয় বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় ৷ একেকটা পদের বিপরীতে কমপক্ষে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী যুদ্ধ করে ৷ আপনি যদি একজন বিসিএস ক্যাডার হতে চান, তবে আপনাকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে ৷

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা কী?

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা

  • ১। শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • ২। বয়সসীমা
  • ৩। নাগরিকত্ব
  • ৪। শারীরিক যোগ্যতা

 

বিসিএস পরীক্ষার্থীর নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

 

বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে চাইলে এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত পাশ করতে হবে। স্নাতক বলতে ৪ বছর মেয়াদী কোর্স বুঝায়। এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত সবগুলো পরীক্ষার যেকোন দুটিতে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমান এবং ১টি তৃতীয় শ্রেণী বা সমমান এর নিচে পেলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

যদি কোন প্রার্থী এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ডিগ্রী বা ৩ বছর মেয়াদী সমমান কোর্সে পড়াশুনা করেন, তাহলে ডিগ্রী পাসের পরে স্নাতকোত্তর বা মাস্টার্স পাশ করতে হবে। তারপরে তিনি বিসিএস এ আবেদন করতে পারবেন।

বর্তমানে জিপিএ সিস্টেম থাকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী নির্ধারণ করতে সমস্যায় পড়েন প্রার্থীরা। সহজ একটা হিসাব দিয়ে দিচ্ছি। দেখুন এবং আপনার জিপিএ বের করুন ৷

 

জিপিএ থেকে শ্রেণী বের করার পদ্ধতিঃ

 

SSC এবং HSC এর ক্ষেত্রেঃ

 

৩ বা তদুর্ধ্ব = প্রথম শ্রেণী

২ থেকে ৩ এর কম= দ্বিতীয় শ্রেণী

১ থেকে ২ এর কম= তৃতীয় শ্রেণী

 

অনার্সের ক্ষেত্রেঃ

 

৩ বা তদুর্ধ্ব = প্রথম শ্রেণী

২.২৫ থেকে ৩ এর কম= দ্বিতীয় শ্রেণী

১.৬৫ থেকে ২.২৫ এর কম= তৃতীয় শেণী

 

বিসিএস পরীক্ষার্থীর বয়সসীমা কত? 

 

পিএসসি যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করবে সে মাসের ১ম তারিখে যদি কোন প্রার্থীর বয়স হয় –

২১ বছরের কম অথবা ৩০ বছরের বেশি তাহলে ওই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

তবে কিছু ক্ষেত্রে বয়স সীমা শিথিলযোগ্যঃ

মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বা কন্যা, প্রতিবন্ধী, স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্যাডারে উপজাতীদের জন্য সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

নাগরিকত্বঃ

বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তি বিসিএস  পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিদেশী নাগরিককে বিয়ে করলে বা বিয়ে  করার প্রতিজ্ঞা করলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

 

বিসিএস পরিক্ষার ক্ষেত্রে  শারীরিক যোগ্যতাঃ

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। মেডিকেল টেস্টে পাশ না করলে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়না।

মেডিকেল টেস্টে সাধারণতঃ

উচ্চতা, ওজন ও বক্ষ পরিমাপ করা হয়।
দৃষ্টিশক্তি যাচাই করা হয়।
মূত্র পরীক্ষা করা হয়।

ওজন বক্ষের বাপঃ

পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট  হতে হবে। সর্বনিম্ন ওজন ৪৯.৯৯ কেজি। তবে পুলিশ ও আনসার ক্যাডার এর জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা ও ওজন যথাক্রমে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও ৫৪.৫৪ কেজি হতে হবে।

মহিলা প্রার্থীর জন্য সর্বনিম্ন উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীর সর্বনিম্ন ওজন ৪৩.৫৪ কেজি। তবে পুলিশ ও আনসার ক্যাডার এর জন্য মহিলা প্রার্থীর সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট হতে হবে। সর্বনিম্ন ওজন ৪৫.৪৫ কেজি হতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ও বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা

বাংলাদেশের  ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা হল বিসিএস- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। প্রতিবছর লাখো প্রার্থী আবেদন করেন। ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পান ২ হাজারের মত।

 

আপনারা পড়ছেন  – বিসিএস প্রস্তুতি গাইডলাইন

১টি ক্যাডারের বিপরীতে যুদ্ধ করেন ২৭০ জনের ও বেশি প্রার্থী! ভাবা যায়? পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড এর চেয়ে ও প্রতিযোগিতা বেশি হয় বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষায়। প্রার্থীদের সংখ্যাটা দিন দিন বাড়লে ও ক্যাডারের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই প্রতিযোগিতার মাত্রা অকল্পনীয়। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চাই প্রচুর পড়াশুনা। অধ্যবসায়, নিয়মমাফিক বিসিএস প্রস্তুতি ছাড়া বিসিএস ক্যাডার হওয়া অসম্ভব।

বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চাকরি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করতে হয় অনেক আগে থেকেই। যে যত বেশি পড়বে তার টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

How to take BCS preparation?

 

১। সিরিয়াস হওয়াঃ

 

প্রথমেই নিজের মাইন্ড সেট করে ফেলতে হবে। বিসিএস অন্য যেকোন একটি পরীক্ষার মতই একটি পরীক্ষা। তবে সেটা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষায় পাশ করতে পড়াশুনা করতে হবে নিয়মিত। অনেক প্রার্থীর টেবিলে দিনের পর দিন বিসিএস এর বই পরে থাকে। কেউ খুলেও দেখেন না। আজকে পড়ব, কালকে পড়ব এভাবে করে মাসের পর মাস চলে যায়। বইয়ের উপর ধুলো পড়ে, কিন্তু পড়া আর হয় না। তাই শুধু বই কিনে জমা করলেই হবে না। সিরিয়াস হয়ে সেই বইগুলো প্রতিদিন পড়তে হবে।

 

২। বিসিএস পরীক্ষার জন্য কখন থেকে পড়া শুরু করব?

 

আপনার যদি ইচ্ছা থাকে বিসিএস এ যোগ দেবার, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই পড়া শুরু করা উচিত। শুধুমাত্র বিসিএসকে টার্গেট রেখে সিলেবাস অনুযায়ী নিয়মিত পড়াশুনা করতে হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন অবস্থায় বিসিএস সিলেবাস ও বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতির সকল তথ্যাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে দেখে বিসিএস  প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।

 

৩। বিসিএস প্রস্তুতির জন্য দিনে কত ঘন্টা পড়ব?

 

কে কত সময় পড়বেন তা নির্ভর করবে কে কোন বিষয়ে পড়ছেন তার উপর। যদি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট এ সময় বেশি দিতে হয় তাহলে কম সময় পড়বেন। কোন ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা কম করে বিসিএস এর পড়াশুনা করা যাবে না।

বিসিএস পরীক্ষায় কয়টি ধাপ আছে?

 

বিসিএস পরীক্ষার ৩ টি ধাপ আছে

১ ৷ প্রিলিমিনারি,
২ ৷ লিখিত ও
৩ ৷ ভাইভা পরীক্ষা।

এখানে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা টা শুধু প্রার্থী বাছাই করার জন্য ৷ হাজার হাজার প্রার্থী পরীক্ষা দেবে ৷ সবার তো আর চাকরি হবে না ৷ চৌকস মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাই করার জন্যই মূলত প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ৷ এই পরীক্ষায় মার্ক থাকে 200 ৷ 200 নাম্বার পাওয়া আপনার জন্য জরুরি না ৷ এখানে টিকে থাকাটা জরুরী ৷ আপনি যদি 120 নাম্বার অর্জন করতে পারেন তবে আপনি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় টিকে গেছেন ৷ পূর্বেকার পরীক্ষার্থীদের ইতিহাস ঘেঁটে এটাই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে ৷ সুতরাং প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করার জন্য বই এর পর বই পড়ে সময় নষ্ট না করে ৷ বরং একটি বই কে বাছাই করে সে বই থেকে যোগ্যতা অর্জন করা বুদ্ধিমানের কাজ ৷

 

। বিসিএস প্রস্তুতি  সিলেবাস দেখে  নেয়াঃ

 

প্রস্তুতির পূর্বেই বিসিএস এর সিলেবাস প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া জরুরী। সিলেবাসের বাইরে সাধারনত কোন প্রশ্ন আসে না। সিলেবাস দেখে কোন বিষয়ে পারদর্শী আর কোন বিষয়ে দূর্বলতা বুঝা উচিত। ধরেন আপনি সিএসইতে পড়াশুনা করছেন। তাহলে আপনার জন্য কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় অনেক সহজ। সুতরাংএই বিষয়ে অন্যদের থেকে আপনার কম পড়া লাগবে। এই সময়ে আপনি অন্য বিষয় পড়তে পারবেন।

৫। বিগত বছরের প্রশ্ন সলভ করাঃ

বিসিএস এর ইতিহাসে প্রতিবারই পূর্বের প্রশ্ন থেকে কিছু রিপিট হয়। তাছাড়া পূর্বের প্রশ্নগুলো সলভ করলে বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে বাস্তবিক জানা যাবে। বাজারে প্রচলিত অনেক বই ই আছে। যেকোন একটা কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বা ২য় বর্ষেই ফাঁকে ফাঁকে পড়ে ফেলা উচিত।

৬। প্রতিদিন একটি বাংলা ও ইংরেজী পত্রিকা পড়া উচিত।

পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম। পত্রিকার লিখা পড়লে বিসিএস এর  লিখিত পরীক্ষায় অনেক কাজে দিবে। তাছাড়া বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন আসে। এই ২ বিষয়ের প্রশ্নগুলো সাধারনত পত্রিকা থেকেই করেন প্রশ্ন কর্তারা। তাই নিয়মিত পত্রিকা পড়লে এগুলো থেকে সহজেই উত্তর করা যাবে।

৭। বিশ্ববিদালয়ের  ৩য়  বর্ষে কিছু বিখ্যাত বই পড়ে ফেললে ভাল হয়।

“অসমাপ্ত আত্মজীবনী”, “লালনীল দীপাবলি” এই বইগুলো থেকে বিসিএসে হামেশাই কিছু প্রশ্ন থাকে। তাছাড়া ভাইভা বোর্ডে এই রকমের বইগুলো থেকে প্রশ্ন করা হয়। এগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কিত বই, মুক্তিযুদ্ধের উপর বইগুলো পড়ে ফেলা উচিত।

৮। আপনি আপনার নিজ জেলা সম্পর্কে কতটুকু জানেন?

বিসিএস ভাইভা বোর্ডে সবাই কেই তাদের নিজ জেলা থেকে প্রশ্ন করা হয়। তাই নিজ জেলা, উপজেলা সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখুন। উইকিপিডিয়া, বাংলা পিডিয়ায় এই তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন।

৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষ থেকে বিসিএস এর সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের জন্য বিষয়ভিত্তিক বই পড়া উচিত।

নিয়মিত পড়াশুনা করলে প্রতিটি বিষয়ে খুব ভাল একটা প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। পড়াশুনার সময় যে টপিক গুলো কঠিন লাগে সেগুলো খাতায় লিখে রাখলে ভাল হবে। সেগুলো কয়েক দিন পর পর রিভিশন দিলে মনে থাকবে।

১০। সর্বোপরি বিসিএস একটা পরীক্ষা। হ্যাঁ খুব কঠিন, কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়।

আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বা এইচএসসির কোন পরীক্ষার আগের রাতে যেভাবে পড়াশুনা করেছিলেন তার ৪ ভাগের ১ ভাগ ও যদি প্রতিদিন বিসিএস পরীক্ষার জন্য পড়েন, তাহলে বিসিএস পরীক্ষায় আপনার দৌড় ১ম ১০০ জনের মধ্যেই থাকবে।

মাথায় রাখতে হবে, এখন বিসিএস পরীক্ষায় প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তাই আগের মতো গতানুগতিক বই পড়ে কিংবা গতানুগতিক টেকনিক অবলম্ব করে খুব একটা ভালো সাফল্য আশা করা যায় না। প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিতা দুটিই যেহেতু বেশি, তাই সাফল্য পেতে হলে পড়াশোনা করতে হবে ব্যতিক্রমভাবে ও কার্যকর টেকনিক অবলম্বন করে। এভাবে পড়লে ভালো কিছু হবে।

 

আরো পড়ুন – বিশ্বিবদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন

মনে রাখবেন, মাঝখানের সময়টুকু ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলে আপনার ও আপনার পরিবারের ভাগ্যে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। আপনি হয়ে যেতে পারেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন ক্লাস ওয়ান ক্যাডার অফিসার। তাই সময় নষ্ট না করে বেশি বেশি পড়ুন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বেশি জোর দিন; যেন পরীক্ষার হলে গেলে বিভ্রান্ত না হন।

আরেকটি কথা মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কেউ কাউকে সুযোগ করে দেয় না, সুযোগ নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে। আপনি ১ ঘণ্টা বেশি পড়া মানে ১ ঘণ্টার পথ এগিয়ে গেলেন সাফল্যের পথে। সব পরিশ্রমী, সৎ সাহসীর জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল।

 

ট্যাগঃ বিসিএস প্রস্তুতি বিসিএস প্রস্তুতি বিসিএস প্রস্তুতি

Related Articles