ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নিয়ত ও নিয়ম । ঈদুল ফিতরের সুন্নাত মাওলানা শরিফ আহমাদ
![](/wp-content/uploads/2022/04/IMG-20220426-WA0013-780x470.jpg)
সূচিপত্র
ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নিয়ত ও নিয়ম
সুপ্রিয় পাঠক! দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার এলো ঈদ । পবিত্র ঈদুল ফিতর । আজ কথা বলবো ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নিয়ত ৷ ঈদের আমেজ শহর-গ্রামে । ঘরে ঘরে খুশির কোলাহল । আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে ! তবে এই আনন্দের একটা সীমারেখা আছে ।
আনন্দ প্রকাশের ভাব-ভঙ্গিমা রয়েছে । রয়েছে উত্তম তরীকা । ইবাদতের মাঝে প্রধান হলো ঈদুল ফিতরের নামাজ । কিন্তু অনেকেই এই নামাজের নিয়মকানুন সম্পর্কে জানে না । তাই আজ এই কলামে উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে । পুরো লেখাটি পড়ুন ।
পড়ুন – স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার কি?
ঈদুল ফিতর অর্থ কি ?
ঈদ একটি আরবী শব্দ । শব্দটির অর্থ হলো ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা, বারবার আসা ইত্যাদি ।
মুসলমানদের জীবনে চান্দ্র বছরের নির্দিষ্ট তারিখে প্রতিবছরই দুটি উৎসবের দিন ফিরে আসে । তাই দিন দুটিকে ঈদ বলা হয় ।
আর ফিতর শব্দটিও আরবী । শব্দটির অর্থ হলো ভেঙ্গে ফেলা, বিদীর্ণ করা ইত্যাদি ।
ইসলামের নিয়ম অনুসারে মুসলমানগন রমজানের চাঁদ দেখার সাথে সাথে রোযা রাখা শুরু করে এবং শাওয়ালের চাঁদ দেখার সাথে সাথে রোযা ভেঙ্গে দেয় । সে কারণে এটিকে ঈদুল ফিতর তথা রোজা ভাঙ্গার দিবস বা আনন্দ বলা হয় ।
![ঈদুল ফিতরের নামাজ](/wp-content/uploads/2022/05/20220501_133759-300x165.jpg)
পবিত্র ঈদুল ফিতরের সূচনা
হযরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় হিজরত করে আসার পর দেখলে মদিনাবাসী দুদিন খুব আনন্দ উৎসব করছে । তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন এ দিনে তোমরা কি করো ? তারা বললেন আমরা জাহিলিয়াতের যুগে এ দুটো দিন খেলাধুলা আমোদ ফুর্তি করতাম । নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের এ দুটো দিনের পরিবর্তে অন্য দুটি দিন প্রদান করেছেন ।তার মধ্যে একটি হল ঈদুল আযহার দিন অপরটি হল ঈদুল ফিতরের দিন । (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৩৬)
ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নিয়ত ও নিয়ম
ঈদের নামাজের স্থান
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে সকলকে সাথে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যেতেন । অথচ মসজিদে নববীতে এক রাকাত নামাজে এক হাজার অন্য বর্ণনায় দশ হাজার ও পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের সওয়াব লাভের সুসংবাদ রয়েছে। এরপরেও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে ঈদের নামাজ না পড়ে সকলকে নিয়ে ঈদগাহে যেতেন এবং সেখানে নামায আদায় করতেন ।
আরও পড়ুনঃ যাকাত আদায়ের নিয়ম
তাই ইসলামী স্কলারদের অভিমত হলো ঈদগাহে নামাজ পড়া উত্তম । অবশ্য মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে । বিনা ওজরে মসজিদে নামাজ না পড়া ভাল । বৃষ্টির কারণে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া জায়েজ আছে । হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত । একবার ঈদের দিনে বৃষ্টি হলো তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে নিয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়লেন । (আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৬২)। এতে বুঝা যায়, বৃষ্টি বা অন্য কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকলে ঈদের নামায মসজিদে পড়া জায়েয।
![ঈদুল ফিতরের নামাজ](/wp-content/uploads/2022/05/20220501_134510-300x171.jpg)
ঈদুল ফিতরের নামাজের আরবী নিয়ত
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتَّةِ تَكْبِرَاتِ وَاجِبُ اللَّهِ تَعَالَى اِِقْتَدَيْتُ بِهَذَا اْلاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
বাংলা উচ্চারণঃ
নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রকা’আতাই ছলাতিল ঈদিল ফিতর মা’আ সিত্তাতি তাকবিরতি ওয়াজিবুল্লাহি তাআলা ইক্বতাদাইতু বি হা-যাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদঃ
আমি ক্বিবলামুখী হয়ে আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য ছয় তাকবীরের সাথে ঈদুল ফিতরের ওয়াজিব নামায এই ইমামের পিছনে আদায় করছি- আল্লাহু আকবার।
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের কপালে টিপ পড়া কি?
ঈদুল ফিতরের নামাজের বাংলা নিয়ত
আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবীরের সাথে এই ইমামের পিছনে আদায় করছি- আল্লাহু আকবার ।
![ঈদুল ফিতরের নামাজ](/wp-content/uploads/2022/05/20220501_134915-300x180.jpg)
ঈদুল ফিতর নামাজ আদায় করার নিয়ম
ঈদের নামাজের জন্য প্রথমে নিয়ত করে নিবেন । আর নিয়তটি সংক্ষেপে এভাবে – আমি ঈদুল ফিতরের দু’রাকাত নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সাথে ইমামের পিছনে আদায় করছি ।
নিয়ত করার পর অন্যান্য নামাজের মত তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে হাত বেধে ছানা পড়বেন । সানার পর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিবেন ।প্রথম তাকবীর বলার সময় উভয় হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠাবেন এবং তাকবীর শেষে হাত না বেঁধে ছেড়ে দিবেন। তিন বার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এ পরিমাণ সময় বিলম্ব করে উভয় হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে দ্বিতীয়বার তাকবীর দিবেন ।
আপনারা পড়ছেনঃ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নিয়ত
তারপর হাত ছেড়ে দিবেন । এবারও ওই পরিমাণ বিলম্ব করে আবার তাকবীর দিবেন । তারপর হাত না ছেড়ে বেঁধে নিবেন । এবার ইমাম সাহেব যথানিয়মে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং অন্য একটি সূরা মিলাবেন । আর মুক্তাদীগণ চুপ করে থাকবেন । শুধু মনোযোগ দিয়ে শুনবেন । তারপর যথানিয়মে ইমাম তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাবেন এবং রুকু সিজদা সমাপ্ত করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাঁড়াবেন ।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা পড়বেন । আর মুক্তাদীগণ চুপ করে থাকবেন । খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবেন । ইমামের কেরাত সমাপ্ত হওয়ার পর রুকুতে যাওয়ার আগে পূর্বের নিয়মে ইমামের সাথে তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর দিবেন ।
এবং প্রতিবার তাকবীরে তাহরীমাই হাত ছেড়ে দিবেন। এরপর চতুর্থ তাকবীর দিয়ে ইমামের সাথে রুকুতে যাবেন । নামাজের অন্যান্য তাকবীরের মত অতিরিক্ত ছয় তাকবীর ইমাম-মুক্তাদী উভয়ে দিবেন ।তবে ইমাম উচ্চস্বরে আর মুক্তাদীগণ অনুচ্চস্বরে তাকবীর দিবেন ।এরপর যথা নিয়মে নামাজ শেষ করবেন । এবং নামাযের পর খুতবা শুনবেন । খুতবা শোনা ওয়াজিব ।
খুতবা শোনা ওয়াজিব হওয়ার দলীল
খুৎবা শুনা আবশ্যক হওয়া মর্মে অনেক প্রমাণ আছে। এর মাঝে কয়েকটি হাদীস উপস্থাপন করছি।
১ নং দলীলঃ
হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বলেন-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-যখন তুমি তোমার পাশের জনকে জুমআর দিন বল-চুপ থাক এমতাবস্থায় যে, ইমাম সাহেব খুতবা দিচ্ছে, তাহলে তুমি অযথা কাজ করলে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২০০৫)
২ নং দলীলঃ
হযরত জাবির রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু মসজিদে প্রবেশ করলেন এমতাবস্থায় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন তিনি হযরত উবাই বিন কাব রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর পাশে এসে বসলেন। বসে উবাইকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেন বা কোন বিষয়ে কথা বললেন।
আপনারা পড়ছেনঃ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নিয়ত
কিন্তু উবাই তার কথার কোন প্রতিউত্তর করলেন না। তখন ইবনে মাসঊদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু মনে করলেন তিনি হয়তো তার উপর রাগাম্বিত। তারপর যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষ করে চলে গেলেন। তখন ইবনে মাসঊদ বললেন, হে উবাই! আমার কথা জবাব দিতে তোমাকে বাঁধা দিল কে?
তিনি বললেন, তুমি আমাদের সাথে জুমআর নামাযে উপস্থিত হওনি। ইবনে মাসঊদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, তো? উবাই রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, তুমি কথা বলছিলে আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো তখন খুতবা দিচ্ছিলেন। (তাই কথার জবাব দেইনি) একথা শুনে আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ দাড়িয়ে গেলেন।
ছুটে গেলেন রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এর কাছে। জানালেন পুরো বিষয়টি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উবাই ঠিক কথাই বলেছে। তুমি এ বিষয়ে উবাই এর কথাকে মেনে নাও। (মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-১৭৯৯)
উক্ত দুটো হাদীস জুমার নামাজ সংক্রান্ত । এবার দেখুন ঈদের খুতবা সংক্রান্ত হাদীস ।
১ নং হাদীস
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ঈদের নামাযের পর দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। ( সহীহ বুখারী-১/১৩১)
২ নং হাদীস
হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে দুই খুতবা দিতেন এবং দুই খুতবার মাঝে বসতেন।
(সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৭২৩ সুনানে নাসায়ী কুবরা, হদীস নং-১৭৩৪ সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৪১৬ সহীহ ইবনে খুজাইমা-১/৭০০, হাদীস নং-১৪৪৬ সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৬৩০।
এছাড়া আরো অনেক হাদীস আছে, যা প্রমাণ করে ইমামের খুতবাদানকালে কথা বলা, নামায পড়া নিষিদ্ধ। অর্থাৎ সে সময় কথা না বলে খুতবা মনযোগ সহকারে শুনতে হয়।
ঈদের দিনের সুন্নাত সমূহ
১.অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬)
২.মিসওয়াক করা। (তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮)
৩.গোসল করা। (ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩১৫)
৪.শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। (বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮)
৫.সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। (বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং -৭৫৬০)
৬.সুগন্ধি ব্যবহার করা। ( মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০)
৭.ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। (বুখারী, হাদীস নং-৯৫৩, তিরমিজী, হাদীস নং-৫৪২, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৬০৩)
৮.সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭)
৯.ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। (দারাকুতনী, হাদীস নং-১৬৯৪)
১০.ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। (বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮)
১১.যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। (বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬)
১২.পায়ে হেটে যাওয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৪৩)
১৩.ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আসত্ এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবে। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫) (কিতাবুস সুন্নাহ, মুফতী মনসূরুল হক হা: )
প্রিয় পাঠক ।
জীবন ঘনিষ্ঠ যেকোন বিষয় জানতে কমেন্ট করুন । দ্রুত দলীল ভিত্তিক লিখে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ । সবাই ভাল থাকুন । সুস্থ ও সুন্দর থাকুন । ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিন । সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । ঈদ মোবারক ।
শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন
লিখেছেন: মাওলানা শরিফ আহমাদ